স্টাফ রিপোর্টার:
দেশের মানুষ যাতে যে যার ধর্ম নির্বিঘ্নে পালন করতে পারেন সেটা নিশ্চত করা সরকারের দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার বিকেলে রামকৃষ্ণ মিশনে দেওয়া বক্তব্যে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিরাজ করছে। এখানে মুসলিমদের ঈদের নামাজে হিন্দু যুবকরা পাহারা দেয় এবং হিন্দুদের পূজায় মুসলিম যুবকরা সহযোগীতার হাত বাড়ায়। এই যে ধর্মীয় সম্প্রীতি এটাই আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
এদিকে শারদীয় দুর্গোৎসবের মহানবমী সোমবার। সকাল থেকে পূজামণ্ডপগুলোতে কল্পারম্ভ আর বিহিত পূজা করা হয়। এরপর দেবীকে অঞ্জলি দেন ভক্তরা।
শাস্ত্র অনুযায়ী, শাপলা, শালুক ও বলিদানের মাধ্যমে মহানবমী পূজা হয় । নানা আচারের মধ্য দিয়ে মহানবমীর পূজা শেষে যথারীতি অঞ্জলি নিবেদন ও প্রসাদ বিতরণ করা হয়। মূলত আজ চতুর্থ দিনই পূজার শেষ দিন। নবমী সন্ধিক্ষণে অনুষ্ঠিত হয় সন্ধিপূজা।
মহিষাসুর নিধনের সময় দেবী দুর্গা প্রচণ্ডক্রোধে কৃষ্ণবর্ণ রূপ ধারণ করেছিলেন। তাই পূজার এই আচারের সময় দেবীকে চামুন্ডা রূপে পূজা করা হয়েছে, অর্থাৎ যিনি চণ্ড ও মুণ্ডের বিনাশিনী। পূজার এই মুহূর্তটি আরও একটি কারণে স্মরণীয়। দেবী দুর্গার আশীর্বাদ নিয়ে শ্রীরামচন্দ্র এই মুহূর্তেই রাবণকে বধ করেছিলেন।
এদিকে, আগামীকাল মঙ্গলবার মর্ত্য ছেড়ে কৈলাশে স্বামীগৃহে ফিরে যাবেন দেবী দুর্গা। এদিন বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই উৎসব।
ষষ্ঠী তিথিতে দেবীর আমন্ত্রণ আর অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। সপ্তমী তিথির ঊষালগ্নে নবপত্রিকা সন্ধান শেষে চক্ষুদানের মধ্য দিয়ে প্রাণসঞ্চার করা হয়েছে দেবীর মৃন্ময়ীতে।
নানা আচারের মধ্য দিয়ে মহানবমীর পূজা শেষে যথারীতি হবে, অঞ্জলি নিবেদন ও প্রসাদ বিতরণ। পৃথিবীতে দেবী দুর্গার আগমনে যেমন উৎফুল্ল হন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তেমনি বিদায় ঘিরে বাজতে শুরু করে বিচ্ছেদের সুর।