বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার ১০ জনই আবরার হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তারা প্রত্যেকেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হাসান আরাফাত।
ডিবি কর্মকতা জানান, হত্যার ঘটনায় ১০ জন গ্রেফতার আছে। তারা সবাই আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তাছাড়া তারা হত্যা সঙ্গে সম্পৃক্ত বলেই আমরা তাদের আটক করি।
সোমবার (৭ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা ডিবির হাতে
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় চকবাজার থানায় দায়ের করা মামলার তদন্তের দায়িত্ব ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
আবরার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবা বরকতুল্লাহ সোমবার চকবাজার থানায় ১৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এর মধ্যে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত হলেন- বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, দ্বিতীয় বর্ষ), সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, দ্বিতীয় বর্ষ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, চতুর্থ বর্ষ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, চতুর্থ বর্ষ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, চতুর্থ বর্ষ), উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়ো মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, তৃতীয় বর্ষ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, দ্বিতীয় বর্ষ), মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ (ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, তৃতীয় বর্ষ) এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির ও একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না।
রোববার (৬ অক্টোবর) রাত ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।