ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানীসহ সারাদেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৩২টি ভেন্যুতে সরকারি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ শুক্রবার। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৭ জন শিক্ষার্থী।
সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার এ ভর্তি পরীক্ষা ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নে অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যায় ২০, রসায়নে ২৫, জীববিজ্ঞানে ৩০, ইংরেজিতে ১৫ এবং বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞানে ১০ নম্বর থাকবে।
জানা গেছে, এবারের পরীক্ষায় অংশ নেবে মোট ৭২ হাজার ৯২৮ ভর্তীচ্ছু শিক্ষার্থী। গত বছরের তুলনায় এবার সাত হাজার ৯ জন বেশি। ৩৬টি সরকারি এবং ৭০টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের মোট আসনসংখ্যা ১০ হাজার ৪০৪। এর মধ্যে এবার ঢাকা মহানগরের পাঁচটি কেন্দ্রের ১১টি ভেন্যুতে ৩৫ হাজার ৯৮৫ জন এবং ঢাকার বাইরে ১৫টি জেলায় ৩৬ হাজার ৯৪৩ জন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে।
এর আগে, গত ৭ অক্টোবর সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি গ্রহণ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে কেন্দ্রগুলো তদারকির জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ১০৭ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে কেন্দ্র ও ভেন্যুভিত্তিক টিম গঠন করে তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, পরিদর্শনকারী টিমসহ ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ক্যালকুলেটর, ঘড়ি, হেডফোন, ব্লুটুথসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস আনা, বহন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সকাল ৯টার মধ্যে পরীক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ করতে বলেছি। এবার ৮ পাতার দীর্ঘ প্রশ্নপত্র নয়, কেবল দুই পাতার একটি প্রশ্নপত্রে হবে পরীক্ষা।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ ছাড়া নতুন পদ্ধতির পরীক্ষা আয়োজনের ফলে যতজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে ঠিক ততটি আলাদা প্রশ্নপত্র রাখা হবে।’
স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিবের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুপ্রিয় কুমার কুণ্ডু এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত বিষয়াদি তুলে ধরেন এবং পরীক্ষাসংক্রান্ত নিয়মাবলি তুলে ধরে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিশিষ্ট কলামিস্ট আবুল মকসুদ, বিএমডিসির সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ, সাংবাদিক নাইমুল ইসলাম খান প্রমুখ।