যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গে মধ্যস্থতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের এ বৈঠকের পরই পাক সাংবাদিকদের তরফে তাকে নোবেল দেয়ার কথা উঠলে ট্রাম্প জানান, তিনি অনেক কিছুতেই নোবেল পেতে পারেন। কিন্তু তাকে দেয়া হয় না। বৈঠকে ইমরান খান বলেন, কাশ্মীর থেকে ভারত অন্তত অবরোধ তুলে নিক। ট্রাম্প বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশের প্রধান, তাই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের নিজের প্রভাব ব্যবহার করার দায়িত্ব আছে।
ইমরান বলেন, বিশ্বের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আমরা যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে থাকি।’ পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এক পাক সাংবাদিক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলেন, ‘আপনি যদি এ সমস্যার সমাধান করতে পারেন, তাহলে আপনি নোবেল পুরস্কার পাওয়ার একজন যোগ্য দাবিদার।’ এ কথা শোনার পর নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে ট্রাম্প উত্তর দেন, ‘আমি মনে করি, আমি অনেক কিছুর জন্যই নোবেল পুরস্কার পেতে পারি। যদি সেটা ঠিকভাবে দেয়া হতো তবে। কিন্তু ওরা দেয় না।’
এ সময় প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রসঙ্গও টেনে আনেন ট্রাম্প। ২০০৯ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামাকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছিল। পারমাণবিক যুদ্ধ বন্ধ করা ও এক নতুন পরিবেশ তৈরি করার তার প্রচেষ্টাকে সম্মান জানাতেই এ পুরস্কার দেয়া হয় তাকে।
কিন্তু ট্রাম্প কটাক্ষ করে বলেন, ‘আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ওবামাকে নোবেল দেয়া হয়। কী জন্য এ পুরস্কার ওকে দেয়া হয়েছে, তার ধারণাও ওর নেই। এই একটা বিষয়ে আমি ওবামার সঙ্গে একমত।’ অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও অনেকবার নোবেল পুরস্কার পাওয়ার ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প।
তার যুক্তি, উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে না দেয়ার জন্য তাকে নোবেল দেয়া উচিত। ট্রাম্প মনে করেন, পৃথিবীজুড়ে সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে ওবামার থেকে তার অবদান অনেক বেশি।