ডেস্নাক রিপোর্ট: নাটোরের গুরুদাসপুরে ঘটেছে এক ভিন্ন ধরণের ঘটনা। অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এমন খবর পেয়ে প্রশাসনের লোকজন বিয়েবাড়িতে অভিযান চালাতে এসে দেখে কনের আসনে যিনি বসে আছেন তাকে দেখে মোটেই অপ্রাপ্তবয়স্ক মনে হচ্ছে না। কিন্তু প্রশাসনের কাছে খবর ছিল কনে ‘অপ্রাপ্তবয়স্ক’ দশম শ্রেণির ছাত্রী। এরপর একটু অনুসন্ধানেই প্রশাসনের লোকজনের কাছে বের হয়ে আসে মূল ঘটনা। কনেপক্ষের লোকজন আগেই কনের পাশাপাশি তার ভাবীকেও বউ সাজিয়ে রেখেছিল। প্রশাসনের গাড়ি দেখে কনের জায়গায় বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল কনের ভাবীকে।
তবে প্রশাসনের গাড়ি দেখে বিয়ের কাজিও সে সময় দৌড়ে পালিয়ে যান। এর আগেই অবশ্য বিয়ে বাড়ির উভয় পক্ষের খাওয়া-দাওয়াও শেষ করা হয়। বাকি ছিল শুধু বিয়ে পড়ানোর আনুষ্ঠানিকতা। ফলে কনেপক্ষের লোকজনের নাটকও ধরা পড়ে যায়। এরপর কনের ভাবী ও তার ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ে। পরে বাল্যবিয়ের চেষ্টার জন্য কনের ভাইকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত ওই কিশোরীকে বিয়ে দেয়া হবে না মর্মে মুচলেকা নেয়া হয়।