দুটি চারদিনের ও তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলতে শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়া বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সফর শেষ হলো আজ। চারদিনের দুটি ম্যাচই ড্রতে নিষ্পত্তি হলেও ওয়ানডে সিরিজ শেষ হয়েছে বাংলাদেশের সিরিজ জয় দিয়ে।
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারায় শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দল। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে ১ উইকেটের নাটকীয় জয়ে সিরিজ সমতায় ফেরায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
তৃতীয় ম্যাচে আজ কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মাঠে নামে দু’দল। সকালে টস জিতে স্বাগতিক দল ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশকে।
ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের ১২০ রানের জুটি আভাস দেয় বড় রানের। মোহাম্মদ নাঈমের ৭৬ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলার পর আরেক ওপেনার সাইফ হাসানের ব্যাটে শতক।
সাইফ টিকে থাকেন ৪১ ওভার ১ বল পর্যন্ত। সাজঘরে ফেরার আগে ১১০ বলে ১১৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে রেখে যান ২৫৫ রানে।
বাকি ব্যাটসম্যানদের ছোট ছোট ইনিংসে ভর করে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩২২ রান তুলে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
মোহাম্মদ মিঠুন করেন ৩২, নুরুল হাসান সোহান ১৭, এনামুল হক ১৫ আফিফ হোসেন করেন ১২ রান।
শ্রীলঙ্কার হয়ে চার উইকেট নেন শিরান ফার্নান্দো, ৩ উইকেট নেন বিশ্ব ফার্নান্দো ও ১টি উইকেট নেন আমিলা আপনসো।
বাংলাদেশের দেয়া ৩২৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই রনি-আফিফদের তোপে পড়ে লঙ্কান ব্যাটাররা। ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কাকে ৬ রানে ফেরান আফিফ হাসান ও সানদুন উইয়ারাকোদিকে ১৮ রানে বোল্ড করে ফেরান আবু হায়দার রনি।
এরপর কামিন্ডু মেন্ডিসের ৫৫ রানের ইনিংস ছাড়া নিয়মিত বিরতিতে উইকেট দিতে থাকে শ্রীলঙ্কা। ব্যাট হাতে শতরানের ইনিংস খেলার পর বল হাতেও দুর্দান্ত ছিলেন সাইফ হাসান। ৬ ওভার বোলিং করে ২৫ রান দিয়ে তুলে নেন দুটি উইকেট।
কিন্তু ম্যাচের ২৪ ওভার ৪ বলের মাথায় (৬ উইকেটে ১৩০ রান) আলোক স্বল্পতার কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আর মাঠে নামা হয়নি দু’দলের।
শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করেও পুনরায় ম্যাচ শুরু করতে না পারায় ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশকে ৯৮ রানে জয়ী ঘোষণা করা হয়।
সমান দুটি করে উইকেট নেন সাইফ হাসান ও এবাদত হোসেন। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন আবু হায়দার ও আফিফ হোসেন।