নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় কুলসুম বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী শাহ আলম (২৫) এর বিরুদ্ধে। রোববার (১৩ অক্টোবর ) রাতে উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের কড়ইতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাতে পিটিয়ে আহত করার পর আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর ) ভোরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক ওই গৃহবধূকে মৃত ঘোষণা করেন। কুলসুম বেগম উপজেলার মানিকপুর এলাকার হক মিয়ার মেয়ে। আর পলাতক স্বামী শাহ আলম উপজেলার কড়ইতলা এলাকার জলিল মিয়ার ছেলে। তাদের সংসারে জাহিদ হোসেন নামে পাঁচ মাসের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
নিহতের বড় বোন মিনারা বেগম অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে শাহ আলম স্থানীয় একটি মেয়ের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এতে বাধা দিয়ে আসছিল স্ত্রী কুলসুম বেগম। এছাড়া ভাই শেখ ফরিদ জানান, দুই বছর আগে পারিবারিক ভাবে শাহ আলমের সাথে কুলসুমের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই যেকোনো ঘটনায় কুলসুমকে মারধর করতো শাহ আলম। এর ধারাবাহিকতায় রোববার রাতেও কুলসুমকে মারধর করে শাহ আলম। মারধরে কুলসুম অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে তার শ্বশুর ও শাশুড়ি রাতেই আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরে সেখানকার জরুরি বিভাগের ডাক্তার কুলসুমকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পরই পালিয়ে যান শাহ আলম। খবর পেয়ে কুলসুমের স্বজনরা শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে আটক করে রাখে।
এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, পরিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী শাহ আলম কাঠের লাঠি দিয়ে স্ত্রী কুলসুমের মাথায় আঘাতের কারণে তিনি মারা যান। এছাড়াও তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।