শাখাওয়াত হোসেন মামুন:
বাংলাদেশের মানুষ এখন সিনেমা হল বিমুখ। মাঝে মধ্যে ভালো কিছু বাংলা ছবি আসলেও দর্শকরা হলে তেমন একটা যায় না, কারন আমাদের প্রত্যন্ত অন্চলের সিনেমা হল গুলির পরিবেশ ভয়াবহ রকমের খারাপ। হল মালিকরা হল গুলি মেরামত করেন না কারন তারা প্রচুর লোকসানে আছেন। অনেকে লোকসানের কারনে হলই বন্ধ করে দিয়েছেন। সুতরাং ভালো ছবি আসলেও ব্যবসা হচ্ছে না, এর ফলে ভালো পরিচালক ও প্রযোজকরা ছবি করার উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন। উপায় না দেখে কিছু কিছু পরিচালক বাধ্য হয়ে অতি বানিজ্যিক ছবি তৈরী করছেন, যাতে থাকেনা কোন গল্প বা তাদের যোগ্যতার ছাপ- থাকে শুধু নোংরামি। পরিবার নিয়ে কেউই এসব সিনেমা দেখতে হলে যায় না।
দেশের সিনেমাকে এখন বাঁচাতে হলে এন্টিবায়োটিক হিসাবে হিন্দি ছবি মুক্তি দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশের অনেকে এখন দলবেঁধে কলকাতা যায় শুধু ছবি দেখার জন্য। বিশ্বের প্রায় সবদেশে এমনকি ভারতের চির শত্রু পাকিস্তানেও ভারতীয় ছবি মুক্তি পায়, শুধু পায়না বাংলাদেশে। হিন্দি ছবি মুক্তি পেলে হলে দর্শক আসবে, হল মালিকরা লাভবান হলে হল সংস্কার করবেন। দর্শকরা আবার সিনেমা হল মুখি হবেন এবং এক পর্যায়ে ভালো বাংলা ছবি দেখার খুদাও দর্শকদের মধ্যে তৈরী হবে।
এমন করা যায়, কোন হলে হিন্দি ছবি মুক্তি দিলে সাথে একটা নতুন বাংলা ছবিও চালাতে হবে। দিনে যদি চারটি শো হয় তবে কমপক্ষে দুটি শো বাংলা ছবির জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে (সন্ধ্যায় একটা / বিকেলে একটা)। একটা সুন্দর নীতিমালার মধ্যে যদি হল ও ছবিগুলি পরিচালনা করা যায় তবে সিনেমা হলগুলিও বাঁচবে, বাংলাদেশের সুস্থ ধারার সিনেমা শিল্পেরও নবজাগরণ হবে।
লেখক: ভাইস চেয়ারম্যান, ভাইয়া গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজ।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)