হরিলুট হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৪৫ হাজার টিকিট। বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই তা ৯০-১০০ ভাগ কমিশনে নিয়ে বাইরে চড়া দামে বিক্রি করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এতে সরকারের কয়েক’শ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।
তাই আগামীতে এসব কমিশন বাণিজ্য বন্ধ করতে বিমান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করেছে। সম্প্রতি জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জানা যায়, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটের টিকিটগুলোই হরিলুট হয়েছে। বিমানের অর্থ পরিদফতর, উচ্চপদস্থ থেকে কনিষ্ঠ কর্মকর্তা সবাই এ সুবিধা নিয়েছেন। বৈঠকের কার্যপত্রে দেখা গেছে, প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড লজিস্টিক সাপোর্ট পরিদফতরের পরিচালক মমিনুল ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ নামের পাশাপাশি স্ত্রী-পরিজনদের নামেও নিয়েছেন একাধিক টিকিট।
তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ১০ বছরে নিয়েছেন ৪৬ টিকিট। এর কোনোটি শতভাগ কমিশন আবার কোনোটি ৯০ ভাগ কমিশনে নিয়েছেন। একইভাবে, প্রকিউরমেন্ট এবং লজিস্টিক শাখার উপ-ব্যবস্থাপকও কম যাননি। তিনি এবং তার পরিবারের নামে নিয়েছেন ১১টি টিকিট। ওই বিভাগের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) মো. সরোয়ার হোসেন নিয়েছেন ১৩টি টিকিট। এসব টিকিটের কোনোটি শতভাগ কমিশনে নেয়া।
এছাড়া মো. নুরুজ্জামান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা রোকসানা আক্তার, প্রশাসনিক সহকারী দিলরুবা আফরোজাসহ আরও অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী এভাবে অনেক টিকিট হাতিয়েছেন। এসব অনিয়ম বন্ধ করতেই মন্ত্রাণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি তাদের সভায় এ সুপারিশ করে।