অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা- এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘অপরাধ যারা করেন সাবধান হয়ে যান। শেখ হাসিনার একশন ডাইরেক্ট একশন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, শুধু আওয়ামী লীগ না বিএনপি নেতাদের অবৈধ সম্পত্তি ও অপরাধের খবর নেয়া হচ্ছে। সময় হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের দি কিং অব চিটাগাংয়ে আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ, বান্দরবান, রাঙামাটি এবং খাগড়াছড়ি জেলার বিশেষ প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষের ভালোবাসা হারিয়ে ফেললে আওয়ামী লীগ আর বেঁচে থাকবে না। বঙ্গবন্ধু নেই কিন্তু আওয়ামী লীগ আছে। সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার নাম আওয়ামী লীগ। দেশের উন্নয়ন অর্জনে ভূমিকা পালন করছে আওয়ামী লীগ।
শেখ হাসিনার সৎ সাহস আছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭৫ পরবর্তী অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি দুর্নীতি, মাদক, চাঁদাবাজি, টেণ্ডারবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছেন। অপরাধী যেই হোক না কেন কাউকেই তিনি ছাড় দিচ্ছেন না। নিজের দলকেও ছাড়েননি। আমরা লোক দেখানো বিচার করছি না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিন্তা করেন পরবর্তী প্রজন্ম নিয়ে। যেই দেশ ছিল ভিক্ষুকের দেশ সেই দেশ এখন এশিয়ার সবার শীর্ষে। ভারতসহ আশে-পাশের অনেক দেশকে পিছিয়ে সামনে দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে। সব কিছু বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনার কৃতিত্ব।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের সঞ্চালনায় এবং দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি, চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, রাঙ্গামাটির সাংসদ দীপংকর তালুকদার, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ।