চার বছরে দুর্নীতি দমন কমিশনে ৬৩ হাজারেরও বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। তবে যাচাই বাছাই শেষে প্রায় সাড়ে চার হাজার অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য আমলে নিয়েছে দুদক। তারা বলছে, আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে সব অভিযোগ গ্রহণ করা সম্ভব নয়। তবে ক্ষেত্র বিশেষ অভিযোগগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পাঠিয়ে দেয় দুদক।
সম্প্রতি অবৈধ ক্যাসিনো বাণিজ্যের বিরুদ্ধে অভিযানে ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতা গ্রেফতার হওয়ার পর তাদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খবর প্রকাশিত হতে থাকে। এই অবৈধ সম্পদের মালিকদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
ক্যাসিনো বাণিজ্যসহ এমন হাজার হাজার অপরাধের অভিযোগ আসছে দুদকে, কিন্তু তাদের তফসিলভূক্ত না হওয়ায় সেগুলো গ্রহণ করছে না। দুদকের তথ্য বলছে- গত চার বছরে সাধারণ মানুষ থেকে ৬৩ হাজারের বেশি অভিযোগ এসেছে। এরমধ্যে অনুসন্ধানের জন্য সংস্থাটি গ্রহণ করেছে মাত্র ৪ হাজার চারশ’র মত।
ব্যক্তিগত রেষারেষি, ভূমি নিয়ে বিরোধ, ব্যক্তি পর্যায়ের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তদন্ত করা দুদকের এখতিয়ারে নেই। তবে অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে অবহিত করা হয় বলে জানান দুদক সচিব।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ব্যাংকারদের ঘুষ গ্রহণ, সরকারি অর্থ ও সম্পত্তি আত্মসাৎ, ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুদক। নাগরিকদের কাছ থেকে দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধ বিষয়ে অভিযোগ দায়েরের আহ্বান জানান তিনি।
* ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভিযোগ এসেছে ১৫,৪৯৭টি, আমলে নিয়েছে ১,১৯৯টি। অর্থাৎ অভিযোগের মাত্র ৮ শতাংশ গ্রহণ।
* ২০১৮ সালে কমিশনে ১৬,৬০৬ টি অভিযোগ আসে, আমলে নিয়েছে ১,২৬৫ টি। অর্থৎ প্রায় ৮ শতাংশ অভিযোগ গ্রহণ।
* ২০১৭ সালে কমিশনে অভিযোগ আসে ১৭,৯৫৩টি, আমলে নিয়েছে ৯৩৭টি, অর্থাৎ ৫ শতাংশ অভিযোগ গ্রহণ।
* ২০১৬ সালে কমিশনে অভিযোগ আসে ১২,৯৯০ টি , আমলে নিয়েছে ১,০০৭ টি, অর্থাৎ ৮ শতাংশ অভিযোগ গ্রহণ করেছে।