টাঙ্গাইলে এক স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ ও বর পক্ষের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে তা থেকে কনে পক্ষকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক এসি ল্যান্ড মো. মইনুল হক। মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী গ্রামে সোমবার সন্ধ্যার পর এই ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় ওই স্কুলছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ এবং বর মামুন ও বাবা খলিল মিয়াকে আটক করে নিয়ে আসেন ভ্রাম্যমাণ আদলতের এ ঘটনায় খলিল মিয়াকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন-২০১৭ এর ৮ ধারায় সেই টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা কনের পরিবারকে দেয়া হয়।
জানা গেছে, জামুর্কী গ্রামের খলিল মিয়ার ছেলের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বাড়ির নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ের দিন ধার্য ছিল সোমবার। এ উপলক্ষে এদিন সকাল থেকেই কনের বাড়িতে শুরু হয় আপ্যায়নের আনুষ্ঠানিকতা। দুপুরের পর থেকে সেখানে মেহমানরা আসতে থাকেন এবং খাওয়া-দাওয়া করেন। সন্ধ্যার পর শুরু হয় বিয়ের মূল কাজ।
এদিকে বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে ওই বাড়িতে হাজির হন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা সহকারি ভূমি কমিশনার (এসি ল্যান্ড) মো. মইনুল হক। এ সময় তিনি বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে বর ও কনের পরিবারকে বুঝান। পরে তিনি বর মামুন ও বাবা খলিল মিয়াকে আটক করে নিয়ে আসেন। এ সময় তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন-২০১৭ এর ৮ ধারায় বরের বাবাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং কনের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তাদের সেখান থেকে ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়।
এসিল্যান্ড মো. মইনুল হক জানান, খবর পেয়ে বিয়ে বাড়িতে হাজির হয়ে বাল্যবিয়েটি বন্ধ করা হয়েছে। তাছাড়া বরের বাবাকে এক লাখ টাকা জরিমানা কর বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন-২০১৭ এর ৮ ধারায় সেই টাকা তেকে ৫০ হাজার টাকা কনের পরিবারকে দেয়া হয়েছে