বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থার অনেক অবনতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তিবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক একে মাহবুবুল হক জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেশ উন্নতি হয়েছে। সোমবার (২৮ অক্টোবর) খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যগত বিষয় নিয়ে প্রেস বিফ্রিংয়ে এসব কথা বলেন একে মাহবুবুল হক। খালেদা জিয়ার বিষয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
খালেদা জিয়া গত ১ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন। ভর্তির সময় খালেদা জিয়ার অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, আর্থাইটিস, দুর্বলতা এবং দাঁতের সমস্যা ছিল। ওনার ভর্তির সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকের সমন্বয়ে একটি স্থায়ী মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা প্রতিদিন তদারকি করা হয়। ব্লাড প্রেসার, প্লাস, টেম্পারেচার মাপা হয়। প্রতিদিন দুই বার ওনার ব্লাড সুগার মাপা হয়। সেই অনুযায়ী ইনসুলিন এবং ইনজেকশন দেওয়া হয়। একদিন পর পর ফিজিওথেরাপি দেওয়া হয়। মেডিক্যাল বোর্ড একযোগে উনার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে থাকেন’, বলেন একে মাহবুবুল হক।
তিনি আরও বলেন, আমাদের অফিস সময় সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। অধ্যাপকগণ হাসপাতালের স্বাভাবিক রাউন্ডে গিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখার সুযোগ পান না। ওনার কাছ থেকে আগে অনুমতি নিতে হয়, বেশিরভাগ সময় দুপুর ১টা ৩০ অথবা তারপরে উনি সময় দিয়ে থাকেন। কিন্তু বাস্তবে উনার দেখা পাওয়া যায় না। অনেকবার বোর্ডের চিকিৎসকগণ ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বসে থেকেও তার দেখা পায়নি। বিএসএমএমইউ পরিচালক বলেন, আর্থাইটিস চিকিৎসার জন্য তাকে কিছু ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত ওনার অনুমতি পাওয়া যায়নি। তাই আগের বাত রোগের চিকিৎসা চলছে। ভর্তির পর থেকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেশ উন্নতি হয়েছে এবং কিছু ক্ষেত্রে স্থিতিশীল রয়েছে।