দুই বছর আগে একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের আগে এক ক্রিকেট জুয়াড়ির কাছ থেকে অনৈতিক প্রস্তাব পেয়েছিলেন বরেণ্য ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তৎক্ষণাৎ সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেও আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে তা না জানিয়ে গোপন করে আইসিসি’র তোপের মুখে পড়েছেন তিনি।
বিষয়টি পরে জানতে পেরে সাকিবকে নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি করার কথা জানিয়েছি আইসিসি।
আন্তর্জাতিক জুয়াড়িদের কল রেকর্ড ট্র্যাকিং করে এ ব্যাপারে তথ্য উদ্ধার করে আইসিসি। ওই জুয়াড়ি আইসিসির কালো তালিকাভুক্ত একজন। বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার পর সম্প্রতি সাকিবের সঙ্গেও কথা বলেন আইসিসির অ্যান্টিকরাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট (আকসু) প্রতিনিধি।
আকসুর নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ক্রিকেটার, ম্যাচ অফিসিয়াল, টিম অফিসিয়ালসহ সরাসরি ক্রিকেটে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তি জুয়াড়িদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অনৈতিক প্রস্তাব না জানিয়ে চেপে গেলে, লুকানোর চেষ্টা করলে অথবা আকসুর জিজ্ঞাসাবাদেও অস্বীকার করলে তার বিরুদ্ধে ‘আইসিসি অ্যান্টিকরাপশন’ ধারা ২.৪.২, ২.৪.৩, ২.৪.৪, ২.৪.৫ ও ২.৪.৬ কার্যকর হবে।
এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ছয় মাস থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে আইসিসি।
তবে সাবেক ক্রিকেটাররা মনে করছেন, আইসিসির সিদ্ধান্তে পর পুরো বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
সাবেক ক্রিকেটার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, “কিছু একটা রেজাল্ট আজকে বিসিবি, আইসিসি’র কাছ পাবে বলে মনে হয় আমার। পেনাল্টি তো কিছু না কিছু হবেই, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। আইসিসি কী সিদ্ধান্ত নিবে, পেনাল্টি কী হবে, সেটার উপর ভিত্তি করে বিসিবি তারপরে নিজের সিদ্ধান্ত নিবে। তবে বোঝাই যাচ্ছে যে ইন্ডিয়া সফর অন্তত সাকিবের জন্য এখানেই সমাপ্তি।