ভারতের সাথে সম্পাদিত চুক্তিসমূহের বিস্তারিত জানতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেবে বিএনপি। শনিবার (২ নভেম্বর) রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর দলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান বিএনপি মহাসচিব। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই বৈঠক হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ভারতে প্রধানমন্ত্রী যে চুক্তিগুলো সম্পাদন করে এসেছেন এই চুক্তিগুলো অবিলম্বে দেশবাসীর কাছে প্রকাশ করার জন্য আহবান জানানো হচ্ছে। আজকে আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেবো তথ্যগুলো জানানো জন্য যে, কি ধরনের চুক্তি হয়েছে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘একই সঙ্গে তথ্য অধিকার যে আইন আছে সেই আইনকে সামনে নিয়ে আমরা তথ্য কমিশনের কাছেও চিঠি দেবো –চুক্তির বিষয় গুলো জানার জন্য। কারণ আমরা মনে করি, এ চুক্তিগুলো সম্পর্কে দেশবাসীর মধ্যে অনেক জিজ্ঞাসা আছে, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে প্রশ্ন জড়িত হয়েছে। আপনারা জানেন যে, ফেনী নদীর পানি দেয়ার বিষয়ে যে চুক্তি হয়েছে তাতে আমাদের পানি দিতে কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু আমাদের যে বড় সমস্যা তিস্তা নদীর পানি সদস্যা দীর্ঘকাল হয়ে গেলো তার কোনো সমাধান হচ্ছে না।’
খালেদা জিয়া তেমন অসুস্থ নন যে তাকে বিদেশে নিতে হবে- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এরকম বক্তব্যে প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কেমন আছে, সেটা নিয়ে কথা বলার অধিকার উনার নেই। কারণ উনি কি ডাক্তার? উনি ডাক্তার নন, তিনি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে এটা বলছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বলছি যে, রাজনৈতিক দৃষ্টি থেকে বাইরে আসুন, মানবিক হোন। সাধারণ বন্দিরাও সুচিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রখে। যেখানে খালেদা জিয়া একেবারে সুস্থ অবস্থায় কারাগারে গেছেন হেটে। সেখানে তিনি এখন বিছানা থেকে নিজে উঠতে পারেন না। এটা বাস্তবতা। সেই কারণে আমরা বলি এরকম মিথ্যা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অর্থই হচ্ছে প্রকৃত সত্য থেকে দূরে রাখা। যে কথাটা আমরা আশঙ্কা করছি এভাবে খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়ার জন্য এই কাজ গুলো তারা করছে। ওবায়দুল কাদের সাহেবের একথা বলায় আমরা একেবারে বিস্মিত হয়েছি। উনি যখন অসুস্থ হয়েছে তাকে আমরা হাসপাতালে দেখতে গেছি, তিনি বিদেশে গেছেন আমরা তার আশু মুক্তি কামনায় দোয়া করেছি।’
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিএসএমএমইউ’র পরিচালকের বিবৃতি ‘অসত্য’ দাবি করে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নিন্দা জানানো হয় বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের দলের অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়ে দীর্ঘকাল বিদেশে অবস্থান করছেন এবং দুরাগ্যে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। অতি সম্প্রতি তিনি মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এখন তিনি হাসপাতালে, তিনি জীবন-মৃত্যুর মাঝামাঝি। সভায় তার আশু রোগ মুক্তির জন্য দোয়া চেয়েছে এবং একই সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীকে তার জন্য দোয়া করার আহবান জানাচ্ছি।