ধানমণ্ডির ২৮ নম্বর সড়কের ২১ নম্বর বাড়ির চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে এই জোড়া খুনের ঘটনায় নতুন গৃহকর্মী হিসেবে নিয়োগ করা ওই তরুণীর পরিচয় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী একজন কর্মকর্তা। তবে ওই তরুণীর পরিচয় জানাতে চাননি তিনি।
তিনি বলেন, ই তরুণীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁর স্থায়ী ঠিকানা পাওয়া গেছে। সেখানে অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু ঘটনার পর তিনি বাড়িতে যাননি। ঢাকা বা ঢাকার আশপাশে কোথাও আত্মগোপন করে আছেন। শিগগিরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।
জানা যায়, ধানমণ্ডির ২৮ নম্বর সড়কের ২১ নম্বর বাড়ির চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে এই জোড়া খুনের ঘটনায় নতুন গৃহকর্মী হিসেবে নিয়োগ করা ওই তরুণীকে সন্দেহ করা হচ্ছে। ঘটনার আগে ওই ভবনের সামনে কয়েকজন সন্দেহভাজন নারী উপস্থিত ছিল বলে জানা গেছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, হত্যাকাণ্ডের পর খুনিরা গাড়িতে করে পালিয়ে গেছে। পোশাক ব্যবসায়ী মনির উদ্দিন যে তরুণীর ছবি দেখালেন তাঁকে গত শুক্রবার বিকেলে তাঁর শাশুড়ি আফরোজা বেগমের ফ্ল্যাটে গৃহকর্মী হিসেবে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পর ওই ফ্ল্যাট থেকে আফরোজা (৬৫) ও তাঁর গৃহকর্মী দিতির (১৯) গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে গতকাল শনিবার আফরোজা বেগম ও দিতির মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান প্রভাষক ডা. কবির সোহেল সাংবাদিকদের জানান, দুজনের গলাসহ শরীরেই বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের একাধিক জখম ছিল। আফরোজার পেটে ও বুকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এর মধ্যে একটি আঘাত তাঁর কিডনি ভেদ করে। মূলত অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়। গলা কাটার কারণে গৃহকর্মী দিতির মৃত্যু হয়।
ময়নাতদন্ত শেষে মৃতদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে গত রাত ৮টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।