আবদুর রহমান: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের রাজেন্দ্রপুর এলাকার জেএমআই সিরিঞ্জ ফ্যাক্টরির পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত পরিচয় (৩৫) ব্যক্তির লাশের পরিচয় মেলেনি দীর্ঘ সাড়ে চার মাসেও। লাশটি উদ্ধারের পর শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশের ধারণা হয় হত্যার পর ওই স্থানে মরদেহটি ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলাও করে পুলিশ। কিন্তু লাশের পরিচয় সনাক্ত না হওয়ার কারনে এগুচ্ছে না মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম। তবে বর্তমানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুমিল্লার সদস্যরা ওই ব্যক্তির পরিচয় সনাক্ত এবং হত্যার রহস্য বের করার জন্য ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, চলতি বছরের ২০ জুন উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর এলাকার জেএমআই সিরিঞ্জ ফ্যাক্টরির উত্তর পাশে মহাসড়ক সংলগ্ন কেরানী পুকুরের পশ্চিম পাড়ে ঘাসের উপর থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ। সে সময় লাশের শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশের ধারণা হয় নিহত লোকটিকে অন্যত্র হত্যার পর এই স্থানে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফ হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর প্রায় তিন মাস তদন্ত করলেও নিহত পরিচয় সনাক্ত করতে পারেনি থানা পুলিশ। সর্বশেষ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে মামলাটি তদন্ত শুরু করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুমিল্লার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুর রাজ্জাক সরদার। এরপর থেকে নিহতের পরিচয় সনাক্তের জন্য ব্যাপক অনুসন্ধান শুরু করেছেন তিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই, কুমিল্লার এসআই আবদুর রাজ্জাক সরদার বলেন, যত প্রকার মাধ্যম আছে সকল মাধ্যমেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ওই ব্যক্তির লাশের পরিচয় সনাক্তের জন্য। কিন্তু এখনো পরিচয় পাইনি। পরিচয়টা নিশ্চিত হওয়া গেলে খুব সহজেই লোকটির হত্যা বা মৃত্যুর রহস্য উৎঘাটন করা সহজ হবে। তাই সকলের প্রতি অনুরোধ থাকবে, যদি কেউ যদি ছবি দেখে বা তথ্য থেকে এই ব্যক্তির পরিচয় জানতে পারেন তাহলে দয়া করে পিবিআই কুমিল্লাকে অবহিত করবেন।