শিরোনাম
  মনোহরগঞ্জের নাথের পেটুয়া ইউনিয়ন এলডিপি কর্মী ফাহিমের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ: নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার       লাকসামে টানা ৪০ দিন নামাজ পড়ে সাইকেল পেল ১৯ শিশু-কিশোর       লাকসামে নেসলে বিডি’র গোডাউনে অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি       লাকসামের সাখাওয়াত হোসাইন মামুন জেসিআই বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’র চেয়ারম্যান নির্বাচিত       কুমিল্লায় নিখোঁজের তিন দিনেও সন্ধান মিলেনি স্কুল ছাত্র ইয়াসিন আরাফাতের        লাকসামের আজগরা হাজী আলতাপ আলী হাইস্কুল এণ্ড কলেজের এসএসসি পরিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা       কিছু বিপদগামী নেতা দলের ভেতর অন্তঃকোন্দল সৃষ্টি করার পায়তারা করছে: আজগরা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল       এএসপি আনিসুল করিমের কবরে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের শ্রদ্ধাঞ্জলি       অনলাইনে কুমিল্লা সরকারি সিটি কলেজে একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা শুরু       প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ    


ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ সামরিক পুরস্কার ‘সেনাবাহিনী পদক’ পেয়েছেন বাংলাদেশ শিশু হৃদরোগ চিকিৎসার পথিকৃৎ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নুরুন্নাহার ফাতেমা বেগম। সেনাবাহিনীতে শান্তিকালীন বীরত্বপূর্ণ/সাহসিকতাপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এ পদক দেয়া হয়েছে।

গত ৬ নভেম্বর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গণভবন কমপ্লেক্স থেকে প্রেরিত এক পত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

পত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ শিশু হৃদরোগ চিকিৎসার পথিকৃৎ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নুরুন্নাহার ফাতেমা বেগম দীর্ঘদিন ধরে অসহায় দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে দেশে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। সেনাবাহিনীতেও তিনি বীরত্ব ও সাহসিকতার সাথে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছেন।

এর আগে, চলতি বছরের ২৫ মার্চ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘স্বাধীনতা পদক’ পান সিলেটের কৃতি সন্তান বাংলাদেশ শিশু হৃদরোগ চিকিৎসার পথিকৃৎ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নুরুন্নাহার ফাতেমা বেগম। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসহায় দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে দেশে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন।

ব্রিগেডিয়ার ফাতেমার স্বপ্ন ও ছুটে চলা:

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে বেঁচে যাওয়ার পর পণ করেছিলেন, চিকিৎসাসেবায় ফিরে পাওয়া জীবন বিলিয়ে দেবেন জনসেবায়। বিনামূল্যে শিশুদের চিকিৎসা করবেন। ডা. ফাতেমা শিশু চিকিৎসার আরেক প্রতিকৃত অধ্যাপক ডা. এমআর খানের সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করেন ‘চাইল্ড হার্ট ট্রাস্ট বাংলাদেশ’। তার মা-বাবার নামে ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ‘ওয়াদুদ-ময়মুন্নেছা ফাউন্ডেশন’। যে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ফ্রি চিকিৎসাসেবাসহ ওষুধ দিয়ে আসছেন তিনি। শিশু হৃদরোগ চিকিৎসার দিগন্ত উম্মোচনের জন্য তাকে বাংলাদেশে ‘মাদার অব পেডিয়ার্ট্রিক কার্ডিওলোজি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।

১৯৮৭ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। তিনি দেশের প্রথম পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজিস্ট। ডা. ফাতেমা জানান, এ পর্যন্ত কোনো কাটাছেঁড়া ছাড়াই ৬ হাজারেরও বেশি শিশুর জটিল হৃদরোগের চিকিৎসা দিয়েছেন তিনি।

১৯৯৭-৯৮ সালে সৌদি আরবের কিং সুলতান হাসপাতালে বিভিন্ন বিদেশি চিকিৎসকের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে তিনি শিশু হৃদরোগ চিকিৎসায় বিশেষ পারদর্শিতা অর্জন করেন। পরে দেশে ফিরে এসে ১৯৯৮ সালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন শিশু হৃদরোগ বিভাগ, যা দেশের প্রথম শিশু হৃদরোগ চিকিৎসা কেন্দ্র।

২০০০ সালে পুরান ঢাকার একজন ব্যবসায়ী দুই দিনের শিশুকে নিয়ে আসেন ডা. ফাতেমার কাছে। ওই সময় তিনি চেম্বার করছিলেন। শিশুটিকে দেখে তিনি তাৎক্ষণিক বুঝতে পারেন চরম হৃদরোগে ভুগছে শিশুটি। শিশুটির সারা শরীর নীল হয়ে গেছে। রক্তনালির সমস্যায় ভুগছিল শিশুটি। পরে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় শিশুটির হার্টে ছিদ্র করে দেন তিনি।

এতে বেঁচে যায় শিশুটি। তিনি শিশুটির নাম শতাব্দী রেখেছিলেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের সন্তানের হার্টের একটি রক্তনালি ছিল না। শিশুটির মাত্র ২ দিন বয়স ছিল। তার চিকিৎসা করেন তিনি। এভাবে শত শত শিশুর প্রাণ বাঁচিয়েছেন এ চিকিৎসক।

ডা. ফাতেমা জানান, শিশু হৃদরোগের লক্ষণগুলো প্রতিটি পরিবারের সদস্যেরই জানা দরকার। নবজাতক নীল হয়ে গেছে, শ্বাসকষ্ট শুরু হলে এবং অল্প বেস্ট ফিডিং করার পরই হাঁপিয়ে গেলে তাকে দ্রুত শিশুরোগ বা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের কাছে নিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, দেশে প্রতি হাজারে ২৫টি শিশু জন্মগত হৃদরোগ নিয়ে জন্মায়। উন্নত বিশ্বে প্রতি হাজারে হৃদরোগ নিয়ে জন্মানো শিশুর সংখ্যা ৮-১০ জন। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, একসময় শিশুর মা-বাবা, আত্মীয়স্বজনকে বিশ্বাস করানোই যেত না শিশুর হৃদরোগ হতে পারে। ছোট্ট একটা হৃদপিণ্ডে আবার কিসের ‘হৃদরোগ’।

দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বপ্রথম ২০১২ সালের ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায় মেলোডি পালমোনারি ভাল্ব প্রতিস্থাপন করা হয়। এ বিষয়ে তার মাইলফলক হিসেবে স্বীকৃত ইন্টারভেশনগুলো হচ্ছে- বেলুন এট্রিয়াল সেপটোসটোমি, পেটেন্ট ডাকটাস আরটারিওসাস কয়েল অকলুশন, এট্রিয়াল সেপটাল ডিফেক্ট ডিভাইস ক্লোজার, ভেট্রিকুলার সেপটাল ডিফেক্ট ডিভাইস ক্লোজার, পেটেন্ট ডাকটাস আরটারিওসাস ডিভাইস ক্লোজার, মাসকুলার ভেট্রিকুলার সেপটাল ডিফেক্ট ডিভাইস ক্লোজার, করোনারি ফিসটুলা কয়েল অকলুশন, ভেট্রিকুলা সেপটাল ডিফেক্ট ডিভাইস ক্লোজার, পেটেন্ট ডাকটাস আরটারিওসাস ডিভাইস ক্লোজার ইত্যাদি।

ডা. ফাতেমার স্বপ্ন অনেক বড়। দেশের মাটিতে শিশুদের চিকিৎসায় একটি বিশেষায়িত জাতীয় কার্ডিয়াক হাসপাতাল তৈরি করতে চান। যেখানে এসব রোগীর যথাযথ চিকিৎসা করানো সম্ভব হবে। যেখানে অসচ্ছল মা-বাবার সন্তানরা বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে পারবে। তার দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে মার্জিয়া তাবাসসুম ইঞ্জিনিয়ার। বর্তমানে লন্ডনে সফল একজন ব্যাংকার হিসেবে চাকরি করছেন। ছোট মেয়ে মাশিয়া মাইশা আহমদ। মেডিসিনের ওপর ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করছেন।

এক নজরে ব্রিগেডিয়ার ফাতেমা:

ব্রিগেডিয়ার ফাতেমা ১৯৬২ সালে সিলেটের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মরহুম এমএ ওয়াদুদ ছিলেন শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তা এবং মা মরহুমা ময়জুন্নেছা খাতুন ছিলেন একজন গৃহিণী। সিলেট নগরীর কিশোরী মোহন বালিকা বিদ্যালয় থেকে শিক্ষাজীবন শুরু করেন ব্রিগেডিয়ার ফাতেমা।

১৯৭৭ সালে এসএসসি, ১৯৭৯ সালে সিলেট এমসি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ১৯৮৫ সালে মেধা তালিকায় ২য় স্থান অর্জন করে এমবিবিএস পাস করে। ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। পরে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস থেকে শিশু রোগের ওপর এফসিপিএস ডিগ্রি লাভ করেন।

১৯৯৭ ও ১৯৯৮ সালে সৌদি আরবের কিং সুলতান হাসপাতালে বিভিন্ন বিদেশি চিকিৎসকদের সংস্পর্শে তিনি শিশু হৃদরোগ চিকিৎসায় বিশেষ পারদর্শিতা অর্জন করে দেশে ফেরেন। ১৯৯৮ সালে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচএ) প্রতিষ্ঠা করেন শিশু হৃদরোগ বিভাগ, যা বাংলাদেশের প্রথম শিশু হৃদরোগ চিকিৎসা কেন্দ্র।

ব্যক্তিজীবনে নিজেকে রত্নগর্ভা মা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন খ্যাতিমান এ চিকিৎসক। তার দুই মেয়ের মধ্যে মার্জিয়া তাবাসমুম ব্যাংকে কর্মরত। ছোট মেয়ে মাশিয়াত মাইশা আহমদ ফার্মাকোলজিতে স্নাতক সম্পন্ন করে বর্তমানে যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা শাস্ত্রে অধ্যায়নরত। তার স্বামী সেনাচিকিৎসা মহাপরিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্নেল আজহার উদ্দিনও পেশায় একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক।

সাত ভাইবোনের মধ্যে তিনি ষষ্ঠ। তার বড় বোন কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপিকা ফরিদা বেগম, দ্বিতীয় ভাই সিলেটের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী এ কে এম ফারুক, তৃতীয় ভাই অধ্যাপক ডা. একেএম রাজ্জাক আবাসিক সার্জারির প্রথিযশা সার্জন। আরেক ভাই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী ও কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট এ কে এম বদরুদ্দোজা। তার বড় আরেক বোন ফৌজিয়া মাহমুদ সিলেট খাজাঞ্চীবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা। ছোট বোন শামসুন্নাহার ফাহমিদা ঢাকার নবাবপুর স্কুলের সিনিয়র শিক্ষিকা।

তার বাসা সিলেটের মিরাবাজারে। গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার বর্ণী ইউনিয়নের পাকশাইল গ্রামে। তার শ্বশুরের বাসা সিলেট নগরীর জালালাবাদ আবাসিক এলাকায় এবং গ্রামের বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার চন্দরপুর গ্রামে।




মনোহরগঞ্জের নাথের পেটুয়া ইউনিয়ন এলডিপি কর্মী ফাহিমের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ: নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার

লাকসামে টানা ৪০ দিন নামাজ পড়ে সাইকেল পেল ১৯ শিশু-কিশোর

লাকসামে নেসলে বিডি’র গোডাউনে অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

লাকসামের সাখাওয়াত হোসাইন মামুন জেসিআই বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’র চেয়ারম্যান নির্বাচিত

কুমিল্লায় নিখোঁজের তিন দিনেও সন্ধান মিলেনি স্কুল ছাত্র ইয়াসিন আরাফাতের 

লাকসামের আজগরা হাজী আলতাপ আলী হাইস্কুল এণ্ড কলেজের এসএসসি পরিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা

কিছু বিপদগামী নেতা দলের ভেতর অন্তঃকোন্দল সৃষ্টি করার পায়তারা করছে: আজগরা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল

এএসপি আনিসুল করিমের কবরে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের শ্রদ্ধাঞ্জলি

অনলাইনে কুমিল্লা সরকারি সিটি কলেজে একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা শুরু

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

নাঙ্গলকোটে পুলিশের গুলিতে স্কুুল ছাত্রসহ ২ জন গুলিবিদ্ধ: এএসআই আবদুর রহিমের কর্মকান্ডে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ

লাকসামে তিনজনের শরীরে করোনার উপসর্গ : আইইডিসিআর-এ নমুনা প্রেরণ

প্রবাসীদের নিয়ে নাঙ্গলকোটের ইউপি মেম্বার জুলাসের কটুক্তি: দেশ-বিদেশে প্রতিবাদের ঝড় 

লাকসামের মুদাফরগঞ্জ বাজারে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী খুন

নাঙ্গলকোটে বিএনপি অফিসে তালা দিলেন আওয়ামী লীগ নেতা: অভিযোগ বিএনপি নেতার

নাঙ্গলকোটে চাচার সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে ভাতিজার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার!

লাকসামের জনপ্রিয় গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. লতিফা আহমদ লতা করোনায় মারা যাওয়ার গুজব ছড়ানো হলেও শতভাগ সুস্থ

লাকসামের সেই দুই সহোদরের পরিবারের নতুন ৬ জন করোনায় আক্রান্ত : সর্বমোট আক্রান্ত ১০

স্ত্রী ও সন্তানের স্বীকৃতি পেতে ডেনমার্ক থেকে নাঙ্গলকোটে এলেন এক নারী

নাঙ্গলকোটে আট বছর বয়সী চাচাতো বোনকে মুখ চেপে ধর্ষণ করতো আপন জেঠাতো ভাই