এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা তার কার্যালয়ে উদ্ধার হওয়া টাকার ব্যাগ আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবসায়ী রাজীব প্রসাদের হাতে তুলে দেন।
জানা গেছে, টাকার ব্যাগ পাওয়া রিকশাচালক লাল মিয়া শহরের মালগ্রাম মধ্যপাড়ার মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে। ওই ব্যাগ পাওয়ার পর শহরের বিভিন্ন স্থানে টাকার মালিককে খুঁজতে থাকেন তিনি। টাকার মালিককে না পেয়ে লাল মিয়া টাকাগুলো বাড়িতে রেখে আবারো টাকার মালিককে খুঁজতে থাকেন।
এক পর্যায়ে তিনি সদর থানা পুলিশের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে মোবাইলে যোগাযোগ করে পুলিশকে জানায়, টাকাগুলো তার বাড়িতে হেফাজতে আছে। পরে বাড়িতে গিয়ে পুলিশ টাকাগুলো উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে টাকার মালিক ব্যবসায়ী রাজীব প্রসাদ জানান, তিনি নন্দীগ্রামের রনবাঘা বাজারে সারের ব্যবসা করেন। বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকায় বসবাস করেন। শুক্রবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে জলেশ্বরীতলা কালীবাড়ি মোড় এলাকা থেকে একটি রিকশায় উঠে সাতমাথায় রাজশাহী রুটের বাস ধরার জন্য নামেন। তার সঙ্গে ছিল তিনটি ব্যাগ।
কিন্তু ভুলবশত এর মধ্যে ২০ লাখ টাকা ভর্তি ব্যাগটি তিনি রিকশায় ফেলে যান। ১০ মিনিট পর ব্যাগটির কথা মনে হলে তিনি সাতমাথা এলাকায় রিকশাচালককে খুঁজতে থাকেন। না পেয়ে এরপর তিনি দ্রুত বিষয়টি বগুড়া সদর থানা পুলিশকে জানান।