বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আগামী দশ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। বর্তমানে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ১২০ টাকার বেশি হওয়ার কথা না। কিছু ষড়যন্ত্রকারী ও অসাধু ব্যবসায়ীর জন্যই পেঁয়াজের দাম বেশি।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনর দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, মুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আলহাজ শুক্কুর মাহমুদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পোশাক শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমি সাত দিন ধরে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। যত ক্ষতি লাগে সরকার দেবে। মানুষ প্লেনে চড়তে পারে না, আমি প্লেনে করে পেঁয়াজ আনছি। ইনশাআল্লাহ ১০ দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে পেঁয়াজ লাগে ২৫ লাখ টন। দেশে যা উৎপাদন হয় তা থেকে পচে-গলে যাওয়ার পরেও থাকে ১৮ লাখ টন। বাকি ৭-৮ লাখ টন পেঁয়াজ আমাদের আমদানি করতে হয়। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর এই চার মাসে আমদানি বেশি প্রয়োজন হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ৭৫ শতাংশ আমরা ভারত থেকে আমদানি করি। ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত সে আমদানি বন্ধ করে দেয়। এরপর আমরা অনেক চেষ্টা করেছি বিভিন্ন দেশ থেকে আনার জন্য। এখন আমরা আনতে পেরেছি। গত তিন দিন ধরে প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ টন পেঁয়াজ ঢাকা বিমানবন্দরে নেমেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা আছে।
পোশাক শিল্পের প্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই শিল্পের উন্নয়নে এগিয়ে যাওয়ার পেছনে আপনাদের ঘাম জড়িয়ে আছে। আপনারা সতর্ক থাকবেন, বাইরের ষড়যন্ত্র ও এনজিওদের সুবিধা আমাদের এই শিল্পকে যেন ধ্বংস না করে। একটা জায়গায় আমরা সবাই এক, সেটা হলো আমরা বাংলাদেশের মানুষ। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মানুষ। আপনারা কোনো ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবেন না।