স্টাফ রিপোর্টার: কুমিল্লার সাড়া জাগানো উদিয়মান নাট্য সংগঠন লাকসাম নাট্যজংশন এর উদ্যোগে ‘খ্যাপা পাগলার প্যাচাল নাটক’ মঞ্চায়ন হয়েছে। সংলাপ এর ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার রাতে কুমিল্লা টাউন হলে এ নাটক মঞ্চায়ন হয়।
এস.এম সোলাইমান রচিত এবং জি.এম.এস রুবেল নির্দেশিত নাটক ‘খ্যাপা পাগলার প্যাচাল’ এর ৬ষ্ঠ প্রদর্শনী ব্যাপক সাড়া জাগায়।
বৃহত্তর কুমিল্লা নাট্য উৎসব’ শুভ উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। উৎসবের ২য় দিন নূর হোসেন ও জয়া মজুমদার এর সঞ্চালনায় এবং আশিক পায়েল এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ এর সভাপতি মন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হাসান পাখি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাংস্কৃতিক জোট কুমিল্লা সভাপতি শ্রী নৃপেন্দ্র ব্যার্নাজি সাজবে, কালচারাল কমপ্লেক্স এর সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন সিদ্দিকি, কুমিল্লা জেলা কালচার অফিসার আয়াজ মাবুদ এবং সহযোগী অধ্যাপক কাজী মুজিবুর রহমান।
আলোচনা অনুষ্ঠানে অতিথিরা সাংস্কৃতি আন্দোলনের গুরুত্ব নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করার পর প্রথমে মঞ্চস্থ হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া থিয়েটারের নাটক ‘সোনার বাংলা অপেরা’। তার পরপরই লাকসাম নাট্যজংশন তাদের পরিবেশনা নিয়ে হাজির হয়। নাটক শেষে তাই আয়োজক ও অতিথিরা লাকসামের নাট্যকর্মীদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে সম্মাননা ক্রেষ্ট সহ নানা উপহার তুলে দেন খ্যাপা পাগলার প্যাচাল নাটকের নির্দেশক ও লাকসাম নাট্যজংশনের প্রতিষ্ঠাতা দলপ্রধান জি.এম এস রুবেল এর হাতে। এ সময় নাট্যগুরু শাহজাহান চৌধুরী’র সমাপনী অনুষ্ঠান উপস্থাপনা ও পরিচালনায় উপস্থিত থেকে জি.এম.এস রুবেল এর হাতে উৎসব কোটপিন তুলে দেন আবৃত্তি সংসদ কুমিল্লা সভাপতি তাসলিমা বেগম, উৎসব এর ম্যাগাজিন তুলে দেন কো এম আলমগীর, নাট্য নির্দেশনা সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট তুলে দেন নাট্যজোট কুমিল্লার সভাপতি মাফুজুর রহমান এবং নাটকের দলের দলীয় সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধান অতিথী বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হাসান পাখি। ক্রেষ্ট ও উপহার গ্রহণের সময় উপস্থিত ছিলেন নাটকের কোরিওগ্রাফি পরিচালক মোঃ কামরুল হাসান, নাটকটির নৃত্য পরিচালক সুমামা তারান্নুম স্নেহা সহ নাটকটির সকল কলাকুশলী।
খ্যাপা পাগলার প্যাচাল এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন যথাক্রমে খ্যাপা পাগলা চরিত্রে- জি.এম.এস রুবেল, আমজাদ আলী ব্যাপারী- আরিফুর রহমান, সঞ্চালক- হৃদয় চন্দ্র দাস, চেলা- হৃদয় চন্দ্র দাস ও মহিউদ্দিন মিয়াজি, শরিয়ত আলী- শাহীন খন্দকার। কোরিওগ্রাফি, কোরাস গান ও নৃত্যে অংশ নেন- জান্নাতুল ফেরদৌস নুপুর, সুমামা তারান্নুম স্নেহা, দোলন সাহা, তনুশ্রী দেবনাথ, রাহাত হোসেন, অভয় সাহা, সানজিদা আক্তার, হৃদয় চন্দ্র দাস, বরকত উল্লাহ হৃদয়, দিদারুল ইসলাম সুমন, মিরাজ, বুলবুল আহমেদ, প্রিয়ম। নেপথ্যে থেকে কাজ করেন শামিম সরাফত নিহাল ও আক্তার হোসেন। নাটকটি উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে ভ্যাপক সাড়া জাগায়।