ডেস্ক রিপোর্ট: বার্সেলোনার হয়ে নিজের ৭০০তম ম্যাচটা দারুণভাবেই রাঙিয়ে রাখলেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড নিজে গোল করলেন। সতীর্থদের দিয়ে করালেন দুই গোল। অধিনায়কের জাদুকরী পারফরম্যান্সে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোতে উঠে গেল বার্সেলোনা।
নিজেদের মাঠে বুধবার রাতে ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচটি আর্নেস্তো ভালভার্দের দল জিতেছে ৩-১ গোলে। মেসির পাশাপাশি একটি করে গোল করেন অন্য দুই তারকা ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেজ ও আঁতোয়ান গ্রিজমান।
ন্যু ক্যাম্পে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত ডর্টমুন্ড। তবে খুব কাছ থেকে নিকো শুলশের নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন বার্সা গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন।
নবম মিনিটে বক্সের সামনে মেসি ফাউলের শিকার হলে ফ্রি কিক পেয়েছিল বার্সা। তবে ফ্রি কিক থেকে মেসির শট লাগে রক্ষণ দেয়ালের পাশে দাঁড়ানো সার্জিও বুসকেটসকে।
২১ মিনিটে মেসির বাড়ানো বল জালে পাঠিয়ে ন্যু ক্যাম্পের দর্শকদের উচ্ছ্বাসে ভাসিয়েছিলেন সুয়ারেজ। কিন্তু ভিএআরের সাহায্য নিয়ে অফ সাইডের কারণে গোল বাতিল করেন রেফারি।
তবে ২৯ মিনিটে সুয়ারেজকে স্কোরশিটে নাম তোলা থেকে আর বিরত রাখা যায়নি। বক্সের সামনে থেকে মেসির বাড়ানো বল দারুণ শটে গোলরক্ষকের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে জালে পাঠান উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার।
তিন মিনিট পরই মেসির গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলে বার্সা। অবশ্য গোলটা বার্সাকে একরকম উপহার দিয়েছে ডর্টমুন্ড। ম্যাট হামেলসের ভুলে বল পেয়ে যায় বার্সা। সুয়ারেজের বাড়ানো বল নিয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন মেসি। বার্সার হয়ে ৭০০ ম্যাচে মেসির গোল হলো ৬১৩টি।
এর আগে ২৫ মিনিটে একটি ধাক্কা খায় বার্সা। চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন ফরাসি ফরোয়ার্ড উসমান ডেম্বেলে। তার বদলি হিসেবেই মাঠে নামেন আরেক ফরাসি ফরোয়ার্ড গ্রিজমান।
বিরতির পর ৫৩ মিনিটে ডাইভ দেওয়ার জন্য হলুদ কার্ড দেখেন মেসি। যদিও বল নিয়ে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষকের পায়ের টোকায় পড়ে গিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। ৬১ মিনিটে সুযোগ পেয়েছিল ডর্টমুন্ড। এবার সানচোর শট ঠেকিয়ে আবার বার্সার ত্রাণকর্তা টের স্টেগেন।
ছয় মিনিট পর স্কোরলাইন ৩-০ করে ফেলেন গ্রিজমান। আবারও গোলের উৎস মেসি। মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে বাঁ দিকে গ্রিজমানকে বাড়ান তিনি। সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি গ্রিজমান।
৭৫ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল পেতে পারতেন মেসি। বাঁ দিকে ফ্রি কিক পেয়েছিল বার্সা। অনেকটা কোনাকুনি থেকে মেসির নেওয়া শট লাগে বারপোস্টে।
দুই মিনিট পর দারুণ এক গোলে ডর্টমুন্ডের ব্যবধান কমান সানচো। ৮৭ মিনিটে আরেকটি গোল পেতে পারত তারা। তবে আবার বার্সাকে বাঁচান টের স্টেগেন। সানচোর জোরালো শট ঝাঁপিয়ে পড়া স্টেগেনের হাত ছুঁয়ে ক্রসবারে লেগে ফেরে।
পাঁচ ম্যাচে তিন জয় ও দুই ড্রয়ে ১১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। গ্রুপের আরেক ম্যাচে স্লাভিয়া প্রাগকে ৩-১ গোলে হারানো ইন্টার মিলান আর ডর্টমুন্ডের সমান ৭ পয়েন্ট। শেষ ম্যাচ জিতে দুই দলের সামনেই সুযোগ থাকছে নকআউট পর্বে যাওয়ার।
ওদিকে ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে ঘরের মাঠে নাপোলির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে লিভারপুল। ২১ মিনিটে নাপোলিকে এগিয়ে দিয়েছিলেন মার্টেনস। ৬৫ মিনিটে লভরেনের গোলে এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিভারপুল।