ডেস্ক রিপোর্ট: হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি আইনে অনুমোদন দিয়েছেন। বুধবার ‘দ্য হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি অ্যাক্ট’ বিলটিতে তিনি স্বাক্ষর করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক মূল্যায়নে হংকং যথেষ্ট স্বায়ত্বশাসন ভোগ করে কিনা তা নিশ্চিত করতে আইনটিতে বার্ষিক পর্যালোচনার বিধান রাখা হয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন তিনি ‘শি জিনপিং, চীন ও হংকংয়ের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এই আইন পাস করেছেন’।
এদিকে, চীন তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ‘অশুভ উদ্দেশে’ এই আইন করেছে। তারা এর বিরুদ্ধে ‘কঠোর পদক্ষেপ নেবে’।
বেইজিংয়ের সুরেই হংকংয়ের চীনপন্থি সরকার বলেছে, এই আইন গণতন্ত্রপন্থীদের ভুল বার্তা দেবে এবং স্পষ্টভাবে শহরটির অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ’ করবে।
তবে গণতন্ত্রপন্থীদের অন্যতম নেতা জোশুয়া ওং বলেছেন, ‘হংকংবাসীর জন্য’ এই মার্কিন আইন ‘উল্লেখযোগ্য অর্জন’।
গত ছয় মাস ধরে হংকংয়ে বিক্ষোভ চলছে। চীনের কাছে অপরাধী প্রত্যার্পণের সুযোগ রাখার বিল বাতিলের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন শেষ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক সংস্কার ও পুননির্বাচনের আন্দোলনের দিকে মোড় নেয়। গত জুন থেকে এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার ৮০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সপ্তাহে চরম সহিংস রূপ নেয় আন্দোলন।
বুধবার পাশ হওয়া মার্কিন আইনটিতে বলা হয়েছে, হংকং চীনের অংশ। তবে এর স্বতন্ত্র আইনি ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা আছে। বার্ষিক পর্যালোচনায় যাচাই করা হবে যে, হংকংয়ের মৌলিক আইনকে খর্ব করে চীন সেখানকার বেসামরিক স্বাধীনতা ও আইনের শাসন ক্ষুন্ন করছে কি না।’
এছাড়া হংকং যেন তাদের বিশেষ বাণিজ্য মর্যাদা বজায় রাখতে যথেষ্ট স্বায়ত্বশাসন ভোগ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে সেখানকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে যুক্তরাষ্ট্র। হংকংয়ের বিশেষ বাণিজ্য মর্যাদা বলতে বোঝায়, চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা বা শুল্ক হংকংয়ের জন্য কার্যকর হবে না।