স্টাফ রিপোর্টার: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, নারী অর্ধেক, আর পুরুষ অর্ধেক। নারীরা যদি অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী না হতে পারে, নারীরা যদি সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে, নারী যদি উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে না পারে তবে আমাদের অভিষ্ট লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হবে না।
শনিবার রাজধানীর গুলশান ইয়ুথ ক্লাব মাঠে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আয়োজিত ২ দিনব্যাপী নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের উপর নির্যাতন বন্ধ ও অধিকার রক্ষার এই প্রচারাভিযানের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘নারী-পুরুষ সমতা, রুখতে পারে সহিংসতা’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে পালিত হলো ডিএনসিসি আয়োজিত ২ দিনব্যাপী ‘১৬ ডেজ অব এ্যাক্টিভিজম।’
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সেলিমা আহমাদ এমপি, নাহিদ ইজহার খান এমপি, শবনম জাহান এমপি, অপরাজিতা হক এমপি, ক্রিকেট তারকা তাসকিন আহমেদ।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে, লিঙ্গ বৈষম্য কমাতে হবে। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নতির সঙ্গে মূল্যবোধের উন্নতি হচ্ছে। মানুষ যত বেশি শিক্ষত হবে, তাদের মুল্যবোধ আরও বাড়বে।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার অভিষ্ট লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। উন্নত বাংলাদেশ গড়ার সেই পথ নকসায় বর্তমান সরকার এগোচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ হবে।
স্থানীয় সরকামন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল দীর্ঘদিন ধরেই এই সুবিধা বঞ্চিত ও প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করছেন, বিশ্বের বুকে দেশের জন্য সুনাম কুড়িয়েছেন, দেশকে সম্মানীত করেছেন। তারই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় দেশে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। সরকার নারী-শিশু ও প্রতিবন্ধীদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য নানামুখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এখন জনগণের সচেতনতাই পারে এর সুফল নিশ্চিত করতে।
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সকলের জন্য নিরাপদ ও বাসযোগ্য একটি নগরী গড়ে তোলার জন্য কাজ করছি। আমরা চাই আমাদের নারীরা, আমাদের বোনরা যাতে নির্বিঘ্নে সবখানে যেতে পারে, আমারদের হুইল চেয়ারে চলাচলকারী ভাই-বোনরা যাতে শহরের সবজায়গায়, সবখানে নিরাপদে, নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে। আমাদের শিশুরা যেন পর্যাপ্ত শারীরিক, মানসিক বিকাশের সুযোগ পায়, খেলাধুলার জায়গা পায়, আমাদের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা যাতে কারো মুখাপেক্ষি না হয়ে সাবলম্বী হতে পারে, সকল নাগরিক সুবিধা পেতে পারে, আমরা সেলক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা গতকাল থেকে ডিএনসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে, মার্কেটে, গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক প্লেসে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য অভিযোগ বক্স দেয়া শুরু করেছি। তারা যেকোনও ব্যক্তিগত, সামাজিক বা আইনগত অভিযোগ ও পরামর্শ অভিযোগ বক্সে দিলে আমরা সেগুলোর ব্যবস্থা নিবো।
মেয়র বলেন, ডিএনসিসি আয়োজিত এই ‘১৬ ডেইজ অব এক্টিবিজম’ এর মাধ্যমে জনগণকে নারী-শিশু ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষায় সামাজিকভাবে আরও সচেতন করতে চেয়েছি। সব শেষে মেয়র তার বক্তব্যে প্রয়াত মেয়র আনিসুল হককে স্মরণ করে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির কাউন্সিলর ও ডিএনসিসির উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।