যে পৃথিবীতে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে মানুষের এত লড়াই। সেই পৃথিবীই এখন হুমকির মুখে মানুষের নানা কর্মকান্ডে। নিয়মিত বনাঞ্চল উজার ও শিল্পায়নের ফলে ক্রমেই বাড়ছে কার্বন-ডাই অক্সাইডের পরিমাণ। বাড়ছে পৃথিবীর তাপমাত্রা। আর এতে হুমকির মুখে পড়েছে পৃথিবীর অস্তিত্ব।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে ক্রমেই বাড়ছে সমূদ্রের পানির উচ্চতা। বরফের আচ্ছাদন বিলীন হওয়ার কারণে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। যার ফলে, পরিস্থিতি দিনকে দিন বিপজ্জনক হয়ে পড়ছে। আইপিসি বা জলবায়ুবিষয়ক আন্তর্জাতিক প্যানেলের সর্ব-সাম্প্রতিক একটি বিশেষ রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে, সমূদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে বিশ্বের অন্তত ৪৫টি শহর রয়েছে রিস্ক জোনে। অর্থাৎ বরফ গলার জেরে এরা সমুদ্রসংলগ্ন অঞ্চলে থাকায় জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর সেই ৪৫টি শহরের মধ্যে রয়েছে ভারতের চারটি- কলকাতা, মুম্বাই, সুরাত ও চেন্নাই। গত এক বছরের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে এটি তাদের তৃতীয় রিপোর্ট। এর আগে বিজ্ঞানীরা বোঝার চেষ্টা করেছেন, এই শতকের শেষভাগে গিয়ে যদি বিশ্বের তাপমাত্রা ১.৫ শতাংশ বেড়ে যায়, তার পরিণতি কী হতে পারে।
এই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই হুশিয়ারি দিয়েছে জাতিসংঘের একটি বিজ্ঞানী প্যানেল। তারা জানিয়েছে এখনি পদক্ষেপ না নিলে, ভারতের উপকূলবর্তী এলাকার প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ পানিতে ভেসে যাবে। চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যার অর্ধেক সমুদ্রের পানিতে তলিয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তারা।