দলীয় সিন্ডিকেটের কারণে সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের দুর্নীতি ও লুটপাটে প্রত্যেকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম আকাশচুম্বী। সাধারণ মানুষ হাহুতাশ করছে। এখন বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে সরকার। এবার যদি বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয় তবে কঠোর কর্মসূচি নিয়ে রাস্তায় নামবে বিএনপি। তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাম শুধু বিএনপিকে এফেক্ট করে না, পেঁয়াজের দাম শুধু বিএনপিকে এফেক্ট করে না, সবাইকে এফেক্ট করে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, দুর্নীতির পর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা ও উদাসীনতা দেশবাসীকে হতাশ করেছে। দ্রব্যমূল্যের বাজারকে অসহনীয় করার জন্য দায়ী ভোটারবিহীন সরকার। দলীয় ব্যবসায়িদের সিন্ডিকেট না ভাঙতে পারলে এবং টিসিবিকে (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের এই অগ্নিমূল্য লাগাতারভাবে আমাদের সাধারণ জনজীবনকে চরমভাবে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে। সে বিষয়ে বর্তমান ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের ব্যর্থতা ও উদাসীনতা দেশবাসীকে অবগতকরণের অংশ হিসেবেই আজ আমরা আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। দ্রব্যমূল্যের ঊধ্বর্গতি রোধে সবাইকে এ অরাজক পরিস্থিতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই বলে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। জনগণকেই এখন রুখে দাঁড়াতে হবে।’
রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে দেশের ক্রিয়াশীল ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে সরকার- এমন অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘জবাবদিহিতার সরকার গঠন করতে হবে। অবাধ নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করতে হবে।’ সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।