ফারুক আল শারাহ: বাংলাদেশ পুলিশের পরিচালনাধীন “জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯”। ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করার পর সাফল্যের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি আজ। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথপ্রদর্শক, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আই সি টি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় দুই বছর পূর্বে “জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯” এর কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। জনগণের দৌরগোড়ায় এ সেবা পৌঁছে দিয়েছেন অতিরিক্ত ডিআইজি, কুমিল্লার কৃতি সন্তান মোহাম্মদ তবারক উল্লাহ। বি পি এম। তাঁর বুদ্ধিদীপ্ততায় এ সেবাটি দেশজুড়ে বেশ জনপ্রিয়। এ সেবার মাধ্যমে মুহুর্তের মধ্যে অনেক বড় ধরনের সমস্যার সমাধানও হয়েছে।
“জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯” এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে জনগণ যেনো জরুরী মুহূর্তে বা প্রয়োজনে দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে একটি নম্বরে ফোন করে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও এম্বুলেন্স এই তিনটি সেবা পেতে পারে সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে। মহাকালের পরিক্রমায় দুই বছর খুব বেশি সময় নয়। একটি প্রতিষ্ঠানকে মূল্যায়ন করার জন্যও দুই বছর যথেষ্ট নয়। কিন্তু “জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯” কার্যক্রম শুরু করার পর সম্পূর্ণ ভাবে জনগণের সেবামুখী বাংলাদেশ পুলিশের এই প্রতিষ্ঠানটি দুই বছর ধরে অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছে। প্রান্তিক পর্যায়ের জনগণও জরুরী প্রয়োজনে বিনা কল চার্জে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জরুরী সেবা নিতে পারছেন।
সাফল্যের পথ পরিক্রমায় “জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯”:
• প্রতিষ্ঠাকাল ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। “জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯” জনগণের কাছ হতে এক কোটি ঊনপঞ্চাশ লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার ছেষট্টি (১,৪৯,৪৭০৬৬) টি ফোন কল রিসিভ করেছে।
• জনগণকে বিভিন্ন তথ্য বা জরুরী সেবা প্রদান করা হয়েছে ত্রিশ লক্ষ আটাত্তর হাজার পাঁচশত সতেরো (৩০,৭৮,৫১৭)টি কলের বিপরীতে যা মোট কলের ২১%। বাকী কল গুলো ছিলো ব্ল্যাঙ্ক কল, তামাশা কল বা অপ্রয়োজনীয় কল যা মোট কলের ৭৯%।
• সেবা প্রদানকৃত ২১% কলের মধ্যে জনগণকে জরুরী প্রয়োজনে (কল ফর সার্ভিস) পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও এম্বুল্যান্স সেবা প্রদান করা হয়েছে এক লক্ষ পঁচাত্তর হাজার পাঁচশত ঊননব্বই (১,৭৫,৫৮৯) টি কলের বিপরীতে। এর মধ্যে জরুরী প্রয়োজনে পুলিশী সেবা প্রদান করা হয়েছে এক লক্ষ আটাশ হাজার চারশত সাইত্রিশ (১,২৮,৪৩৭) টি কলের বিপরীতে যা জরুরী প্রয়োজনের কলের ৭২%। ফায়ার সার্ভিসের সেবা প্রদান করা হয়েছে ছাব্বিশ হাজার আটশত সাতাশ (২৬,৮২৭) টি কলের বিপরীতে যা যা জরুরী প্রয়োজনের কলের ১৬% এবং এম্বুল্যান্স সেবা প্রদান করা হয়েছে বিশ হাজার তিনশত পচিশ (২০,৩২৫) টি কলের বিপরীতে যা যা জরুরী প্রয়োজনের কলের ১২%।
• শুধুমাত্র মহিলাদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে এক লক্ষ নয়শত তিপ্পান্ন (১,০০,৯৫৩) টি কলের বিপরীতে।
বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডি আই জি জনাব মোহাম্মদ তবারক উল্লাহ, বিপিএম মহোদয় সূচনা লগ্ন থেকে “জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯” কে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। যোগ্য নেতার যোগ্য নেতৃত্বে “জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯” প্রায় পৌণে চারশত কর্মীবাহিনী নিয়ে দিন রাত ২৪ ঘন্টা অক্লান্তভাবে কাজ করে চলেছে কাঙ্ক্ষিত জরুরী সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে।
দ্বিতীয় বর্ষ পূর্তির প্রাক্কালে অতিরিক্ত ডি আই জি মোহাম্মদ তবারক উল্লাহ, বি পি এম মহোদয় জনগণকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি দুই বছরের পথ চলায় সাফল্যের জন্য “জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯” এ কর্মরত সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এই নিবেদিত কর্মীবাহিনীর জন্য “জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯” জনগণের একটি আস্থার জায়গায় পরিণত হয়েছে এবং একই সাথে সকল গণ মাধ্যম কর্মীদের ধন্যবাদ জানান “জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯” এর সংবাদ সমূহ গুরুত্ব সহকারে প্রচার করার জন্য যাতে করে জনগণ “জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯” এর কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পেরেছে এবং সেবা নিতে পারছে। তিনি এই সেবাটি জনগণের কাছে আরো জনপ্রিয় করে তুলতে গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন।