ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশ বিমানের সমস্যা দূর করা হবে। কোনো দুর্নীতি হলে মেনে নেওয়া হবে না। বিমানবন্দরের আমলা, মন্ত্রী- এমপি, বাহিনীর প্রধান সবাইকে বলি নিয়ম মেনে চলবেন। বাইরের দেশে গেলে যেমন নিয়ম মেনে চলেন, এখানেও তাই হবে। কোনো অনিয়ম করা যাবে না। তাহলে বিমানে চড়াও বন্ধ হবে। কথাগুলো বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ ও বাংলাদেশ বিমানের নতুন ড্রিমলাইনার অচীন পাখি ও সোনার তরী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সকলকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, একটা কথা সবাই মনে রাখবেন, আমার সারাদিন কোনো কাজ নেই, আমি সারাদিন দেশের কাজ করি। দেশের কোথায় কী হয় সেটা খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করি। নজরদারি বাড়িয়ে দেই।
তিনি বলেন, আমি আমার জীবন বাংলাদেশের মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছি। আমি আমার পিতার স্বপ্ন পূরণ করতে চাই। বাংলাদেশ যে উন্নত হতে পারে গত দশ বছরে আমরা তা প্রমাণ করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালের আগে ঢাকা এয়ারপোর্টের কথা যদি চিন্তা করেন, বোর্ডিং ব্রিজসহ কোনকিছুই ছিল না। বিমানের বহরে যে প্লেন ছিল তা দিয়ে পানি পড়ত। কোনো বিনোদনের ব্যবস্থা ছিল না। দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থা ছিল। আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলাম, কাজ শুরু করলাম। তবে উদ্বোধন করে যেতে পারিনি। ২০০৮ সালে যখন ক্ষমতায় আসলাম পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে কাজ শুরু করলাম। ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিণত করলাম।
তিনি বলেন, বিমানে অনেক সমস্যা ছিল। এ সমস্যাগুলো একে একে সমাধান হচ্ছে। এখন অ্যাপসটা উদ্বোধন করলাম। টিকিট বুকিংসহ সবকিছু এখানে করতে পারবে। তবে বিমানে কোনো কার্গো প্লেন নেই। বিমানের নিজস্ব কার্গো প্লেন প্রয়োজন। তাহলে মালামাল প্রেরণ করা এবং রফতানি-আমদানির সুবিধা হবে। ভবিষ্যতে আমরা কার্গো প্লেন কিনব। থার্ড টার্মিনালের সঙ্গে কার্গো ভিলেজ হবে। কারণ কার্গো প্লেন ছাড়া বিমান লাভজনক হতে পারে না।
বিমানের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা বিশেষভাবে নজর দিয়েছি। বিদেশি যারা আসেন বা আমাদের যারা বিদেশে কাজ করে যাদের অর্থে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করি। অনেক সময় তাদের হয়রানি করা হয়। এসব অবশ্য এখন কিছুটা বন্ধ হয়েছে। আমি চাই তাদের যেনো কোনোভাবে হয়রানি করা না হয়। নিরাপত্তার যে নিয়মাবলি আছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সকল যাত্রীকে তা মেনে নিতে হবে। এখানে সংসদ সদস্যরা আছেন, বাহিনী প্রধান আছেন। আপনারা বিদেশে যান, সেখানে আপনাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়। সে ব্যবস্থা এখানেও করা হবে। কেউ বাধা দিতে পারবেন না।