স্টাফ রিপোর্টার: লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অফিসে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে সূত্রে জানা যায়। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪ লাখ টাকা।
জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অফিসে বিদ্যুতের লাইনে সমস্যা থাকায় ঘটনার আগেরদিন রোববার (২৯ ডিসেম্বর) মেরামত করা হয়। পরদিন সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে হঠাৎ এক বিকট শব্দ হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে আগুন ধরে যায়। তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ওই কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মচারী আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনেন। খবর পেয়ে মুহুর্তের মধ্যে লাকসাম দমকল বাহিনী এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকান্ডের সময় কার্যালয়টি বন্ধ ছিল। বিদ্যুতের ওভার লোডেড পরিবাহীর কারনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান অফিসে বিদ্যুতের লাইন মেরামতকারী ইলেকট্রিশিয়ান সুজন।
আগুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অফিসের ব্যবহৃত টেবিল, চেয়ার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, রাউডার, ডিভিআর, সিসি ক্যামেরা, মনিটর সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র পুড়ে যায়। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪ লাখ টাকা।
তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ.কে.এম সাইফুল আলম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) উজালা রাণী চাকমা।
লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ.কে.এম সাইফুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আগুনে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কোন নথিপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ওই সময় প্রয়োজনীয় নথিপত্র অন্যত্র ছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অল্প কয়েকদিন আগে লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ওই ঘটনায় উপজেলা নির্বাচন অফিসে পাহারারত পুলিশের এসআইসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।