স্টাফ রিপোর্টার: নাঙ্গলকোটে যুগ যুগ ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে গ্রামীন বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঠান্ডা কালীর মেলা। বৃটিশ শাসনামল থেকে প্রতি বছর মাঘ মাসের শুরুতে (এক তারিখে) উপজেলার মোগরা গ্রামে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এটি দক্ষিণ কুমিল্লার সবচেয়ে বড় মেলা। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লাখ লাখ মানুষ হরেক রকম পণ্য কিনতে এ মেলায় ভীড় জমায়।
কথিত আছে, নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নের মোগরা গ্রামের শ্রী উপেন্দ্র চন্দ্র এর বাড়িতে কালি দেবতার নামে পুজা করত। এ পুজা আসরে পাঠা বলি দেওয়া হত। কালক্রমে বাড়িটির নাম কালী বাড়ি হিসেবে পরিচিত লাভ করে। এরপর কালী বাড়ির লোকজন শীত ঋতুতে বাংলা বছরের পহেলা মাঘ মেলা শুরু হয়। মেলাটি শীতকালে অনুষ্ঠিত হওয়ায় ‘ঠান্ডা’ আর কালী বাড়িতে হওয়ায় ‘কালীর’ এককথায় ‘ঠান্ডা কালীর মেলা’ নামে পরিচিত।
মেলার দিন এলাকার মানুষের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। কৃষি যন্ত্রপাতি, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও বাচ্চাদের খেলনার জন্য মেলাটি বিখ্যাত। মেলায় সবচেয়ে বড় আকর্ষন থাকে বড় বড় মাছ। প্রচন্ড শীতকে উপেক্ষা করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মৎস্যপ্রেমীরা পছন্দনীয় মাছ ক্রয় করতে এ মেলায় আসে। বয়স্ক ও শিশুদের আনন্দের জন্য থাকে সার্কাস, নাগরদোলা সহ বিভিন্ন ধরনের খেলনা। মেলায় দুই হাজারেরও বেশি ভ্রাম্যমান দোকান বসে। মেলায় তিন থেকে চার লাখ দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। প্রতিবছরের মতোও এবারও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।