স্টাফ রিপোর্টার: কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবরের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার প্রতিবাদে নাঙ্গলকোটে অন্তত অর্ধশত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সেবা বর্জন করেছেন। গতকাল শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) নাঙ্গলকোট জেনারেল হাসপাতাল, আল্ট্রা মডার্ণ, মেডিকেল সেন্টার, নোভা, আধুনিক, ট্রমা, ডক্টস ল্যাব, উপজেলার বাঙ্গড্ডা বাজারের আস শিফা ও হলি ফ্লাওয়ার হাসপাতাল’সহ উপজেলার প্রায় সকল হাসপাতাল ও ক্লিনিকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখেছেন। এতে শত-শত রোগী চিকিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হয়ে হাহাকার করতে দেখা যায়। এদিকে, চিকিৎসকরা না আসায় উপজেলা সদরের ঔষধ দোকানে ও খাবার হোটেলের মালিকদের ব্যবসা স্থবির হয়ে পড়েছে। দুপুরে উপজেলা সদরের কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকদের আসার অপেক্ষা করে রোগীরা ফিরে যাচ্ছে। যে সকল হাসপাতালে প্রতি শুক্রবার সকালে লোক সমাগমের কারনে পা ফেলা যেতোনা ওই সকল হাসপাতালে শুনশান নিরবতা বিরাজ করছে।
হাসপাতাল মালিক ও র্কমকর্তা-কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর প্রতি শনিবার বিকেল ৪টা থেকে নাঙ্গলকোট জেনারেল হাসপাতালে রোগী দেখেন। গত ১১ জানুয়ারি শনিবার আসরের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হলে ওই চিকিৎসকের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ওই চিকিৎসক বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট পৌর সদরের হরিপুর গ্রামের হারুন রশিদের ছেলে আকাশ (১৯), নাঙ্গলকোট পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালের মালিক সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী’সহ (৪০) অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে নাঙ্গলকোট থানায় মামলা দায়ের করেন। চিকিৎসকের উপর হামলার ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করেন তারা।
নাঙ্গলকোট হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিক সমিতির যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন বলেন, বিষয়টি আপনারই ভালো জানেন। আমি ব্যস্ত আছি সময় করে ফোন দিবো।