ডেস্ক রিপোর্ট: মাস্ক ব্যবহার না করায় যশোরের মণিরামপুরে সহকারী কমিশনার, ভূমি (এসিল্যান্ড) সাইয়েমা হাসানের হাতে লাঞ্ছিত তিন বৃদ্ধের বাড়ি গিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান উল্লাহ শরিফী।তিন পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দিয়েছেন তিনি। এসময় তাদের নিরাপদে বাড়িতে থাকার জন্য বলেন। এরপর যদি খাবার ফুরিয়ে যায় তাহলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বলেন। তাদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন ইউএনও।
একই সঙ্গে বৃদ্ধদের বাড়ি নির্মাণ করে দিতেও চেয়েছেন তিনি।
শনিবার বেলা ১২টার দিকে বৃদ্ধদের বাড়িতে যান ইউএনও। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ও স্থানীয় শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি।
ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি জানান, গতকাল শুক্রবার বিকেলে মাস্ক না পরে চিনাটোলা বাজারে যাওয়ায় শ্যামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ লাউড়ি গ্রামের তরকারি বিক্রেতা, একই গ্রামের এক ভ্যানচালক দিনমজুর ও দক্ষিণ শ্যামকুড় গ্রামের আরেক ভ্যানচালককে কান ধরিয়ে লাঞ্ছিত করেন এসি ল্যান্ড সাইয়েমা হাসান। শুধু তাই নয়, নিজের মুঠোফো বৃদ্ধদের ছবিও তোলেন এসি ল্যান্ড। সেই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ব্যাপক সমালোচনার মুখে আজ তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে আজ মণিরামপুরের ইউএনও লাঞ্ছিত ব্যক্তিদের বাড়িতে খাদ্যদ্রব্য নিয়ে যান। এ ছাড়া চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে তাদের তিনজনকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়।
ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, ‘আমি তাদের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছি। তাদের হাত ধরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়েছি। আমি তাদের সার্বিক সহযোগিতাসহ ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছি।’