ফারুক আল শারাহ:
কুমিল্লার লাকসামের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র দৌলতগঞ্জ বাজারের ব্যাংক সমূহে গ্রাহকদের উপচেপড়া ভীড় বেড়েই চলেছে। এতে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। স্থাণীয় প্রশাসন করোনা সংক্রমণ রোধে বাজারের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে বিকল্প ১৮টি বাজার চালু করলেও ব্যাংকগুলোতে অতিরিক্ত ভীড়ে করোনা ঝুঁকির আশঙ্কায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারা দেশে চলছে সাধারণ ছুটি। সীমিত আকারে খোলা রয়েছে ব্যাংকগুলো। লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজারে সীমিত সময়ে ব্যাংকিং সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যাংকারদের। যতক্ষণ ব্যাংকের কার্যক্রম চলে ততক্ষণই ভীড় লেগে থাকছে। এতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান স্থানীয় স্বাস্থ্যবিদরা।
সরেজমিনে আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দৌলতগঞ্জ বাজারের আলহাজ্ব চানমিয়া টাওয়ারে ইসলামী ব্যাংকে গিয়ে দেখা গেছে, দোতলায় অবস্থিত ব্যাংকটির সিঁড়ি বেয়ে নিচতলা হয়ে সড়ক পর্যন্ত গ্রাহকদের উপচেপড়া ভীড়। একজন আরেকজনের শরীর ঘেঁষে ভেতরে ঢুকার চেষ্টা। গাদাগাদি অবস্থা। সামান্য কিছু গ্রাহকের মুখে মাস্ক থাকলেও বেশীরভাগই ছিল মাস্কবিহীন। নিয়মিত এমন চিত্র শুধু ইসলামী ব্যাংকের নয়, অন্যান্য ব্যাংক সমূহেও গ্রাহকদের উপচেপড়া ভীড় ব্যাংক পার হয়ে সড়কেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
একাধিক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, একদিকে মাত্র ২ ঘন্টার জন্য ব্যাংকিং কার্যক্রম অন্যদিকে পবিত্র রমজান মাস আসন্ন হওয়ায় ব্যাংকে গ্রাহকের ভীড় সামলাতে কষ্ট হচ্ছে। তবে ব্যাংকে নিরাপদ দূরত্বে লেনদেন অব্যাহত রাখতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
লাকসাম পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের বলেন, নিরাপদ দূরত্বে ব্যাংক সমূহে লেনদনের লক্ষ্যে পৌরসভার উদ্যোগে আনসার নিয়োগ সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তারপরও অনেকে তা না মেনে ভীড় জমাচ্ছে। যা সত্যিই দুঃখজনক। করোনা সংক্রমণরোধে তিনি সকলকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মেনে নিরাপদ দূরত্বে লেনদেনের অনুরোধ জানান।
ক্যাপশন: লাকসাম ইসলামী ব্যাংকের লেনদেনের অপেক্ষায় গ্রাহকদের উপচেপড়া ভীড়।