স্টাফ রিপোর্টার: পথে ঘাটে যাদের বসবাস আর কর্মব্যস্ত সময় পার করেন এবং দায়িত্ব পালন করত গিয়ে সময়মত ইফতার করার সময় নেই যাদের। শনিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে রমজানের প্রথম ইফতারি ও পানি নিয়ে ঐ মানুষের পাশে গিয়ে ইফতার নিয়ে দাড়িয়েছেন দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) মোহাম্মদ আলী সুমন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে সারা বিশ্ব তথা বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধিরা ভয়ে ঘর থেকে বের হয়নি। সেখানে দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রতিদিন উপজেলা প্রত্যান্ত অঞ্চলে অনাহারে থাকা মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ সামগ্রি পৌঁছে দিচ্ছেন। পথে পথে ঘুরে ইফতার বিতরণ করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) মোহাম্মদ আলী।
করোনা ভাইরাসের প্রকোপে কুমিল্লা জেলা এখন লকডাউনে, লকডাউনে দাউদকান্দি উপজেলা। এরমধ্যেই পবিত্র মাহে-রমজান শুরু হয়েছে। প্রথম রোজার ইফতারের ঠিক আগমুহূর্তে নিজের গাড়ি করে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন পেশাজীবী ও অসহায় মানুষদের মাঝে ইফতার বিতরণ করেছেন দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর মোহাম্মদ আলী (অব.)।
শনিবার বিকেলে থেকে, তার নিজস্ব গাড়িতে ইফতার নিয়ে বেরিয়ে পড়েন উপজেলা চেয়ারম্যান। যারা পেটের দায়ে জরুরি পণ্য গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পথে নেমেছিলেন, কিন্তু যথাসময়ে ইফতারের আগে গন্তব্যে যেতে পারেনি এবং যাদের পথেই বসবাস- এই অসহায় মানুষদের হাতে ইফতার ও খাবার পানি তুলে দেন দাউদকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান । চলতি পথে ইফতারের প্যাকেট হাতে পেয়ে ভ্যান ও রিকশাচালকসহ অনেকেই অবাক হন। উপজেলা চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় তিনি মহাসড়কে দায়িত্বপালনরত পুলিশ সদস্যের হাতেও ইফতার তুলে দেন। এ সময় পথশিশু সবুজ সারা দিন খানা নেই। হঠাৎ এক প্যাকট ইফতার ও পানি পেয়ে মহা খুশি। সে জানায় আল্লাহ পাক দেশের সকল জনপ্রতিদের এমন হতো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ আলী বলেন, অসহায় মানুষগুলো পথে না খেয়ে ইফতার এর সময় পার করবে, জনগণের প্রতিনিধি এবং একজন নাগরিক হিসেবে আমি তা মানতে পারিনা। তাই আমার সামার্থনুযায়ী চেষ্টা করেছি। এটা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ। তিনি বলেন, এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে সামার্থ্যবানরা সুবিধা বঞ্চিত অসহায় মানুষদের পাশে পাশে থাকলে কোন অসহায় মানুষ না খেয়ে থাকবে না। উল্লেখ্য যে, চলমান পরিস্থিতিতে উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর মোহাম্মদ আলী (অব.) এর করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের সার্বক্ষণিক কার্যক্রমে এবং সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি সর্বস্তরে প্রশংসিত হয়েছে।