কুমিল্লার লাকসামে বাসার মেঝেতে অর্ধনগ্ন ও মুমুর্ষ অবস্থায় পড়ে আছেন এক যুবক। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে করোনা রোগী ভেবে উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগকে ফোন করে। তাৎক্ষনিক স্বাস্থ্যবিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান ওই যুবক করোনা রোগী নয়। তিনি স্ত্রীর সাথে অভিমান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। বৃহস্পতিবার পৌর শহরের ৪নং ওয়ার্ডের উত্তর লাকসাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানার আবদুল্লাপাড়া গ্রামের আবদুল ওয়াহেদের ছেলে আবদুর রহমান (৩০) লাকসামে আবুল খায়ের গ্রুপে মার্কেটিং অফিসার হিসেবে কাজ করেন। এপ্রিল মাসে স্ত্রীসহ শহরের বাইপাস সড়কের শাহজাহান মিয়ার টিনসেডের একটি ঘর ভাড়া নেন। ভাড়া নেয়ার পর প্রায়ই তার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকতো। এরই মধ্যে স্ত্রী দুইবার অভিমান করে বাবার বাড়ি চলে যায়। গত কয়েকদিন আগে গিয়ে তিনি আর ফিরে আসেননি। বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) রাতে তারাবির নামাজের সময় হঠাৎ ওই যুবক চিৎকার দিয়ে উঠলে আশপাশের লোকজন ও বাড়ির মালিক ঘরের জানালা দিয়ে তাকে মেঝেতে অর্ধনগ্ন ও মুমুর্ষ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল গিয়ে করোনা রোগী ভেবে স্থাণীয় স্বাস্থ্যবিভাগে ফোন করে। খবর পেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন ও স্থানীয় কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে বাড়ির মালিক।
আত্মহত্যা চেষ্টাকরী আবদুর রহমান গাইবান্ধা, কুমিল্লার বুড়িচং এবং লাকসামে একটিসহ তিনটি বিয়ে করেন বলে স্থাণীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়। এনিয়ে তার পরিবারের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। ঘটনার পরপরই বাড়ির মালিক শাহজাহান মিয়া খবর দিলেও তার বাবা-মা, স্ত্রীদ্বয় এবং কোন আত্মীয়-স্বজন এগিয়ে আসেননি। আজ শুক্রবার তার বাবার মোবাইল ফোনেও একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এদিকে তাকে উদ্ধারের পর তার বাসা থেকে নিজের হাতে লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। এতে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমানের কথা উল্লেখ রয়েছে। অভিমানের জের ধরেই ওই ব্যক্তি বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে স্থানীয়রা মনে করেন।
লাকসাম থানা পুলিশ ওই যুবক বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় বলে নিশ্চিত করেছেন।