জানা যায়, লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগ কর্তৃক গঠিত ‘করোনা র্যাপিড রেসপন্স টিম’ রোগীদের চিকিৎসা ও নমুনা সংগ্রহে দির-রাত করে আসছিল। হাসপাতালের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) ইতোপূর্বে অসংখ্য রোগীর নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে নিজেই করোনায় আক্রান্ত হন। রবিবার (৩ মে) তার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসলে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স সহ সকল বিভাগের কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। তাৎক্ষনিক করোনা আক্রান্ত মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টকে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আইসলোশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। র্যাপিড টিমের অন্যান্য সদস্যরা ওই টেকনোলজিস্টের সঙ্গে মানবিক সেবায় নিয়োজিত থাকায় ইতোমধ্যে তাদের সকলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতালে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট করোনায় আক্রান্তের পরপরই জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় নিয়ে বহিঃবিভাগ ও ইপিআই কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। মানবিক দিক বিবেচনায় জরুরি বিভাগ চালু থাকলেও আতঙ্কে রোগীরা আসতে চাইছেন না। হাসপাতাল এলাকায় বহিরাগত সর্বসাধারণের প্রবেশেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবদুল আলী জানান, মানবিক দিক বিবেচনায় সর্বোচ্চ সতর্কতায় জরুরি বিভাগে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।