শহিদুল ইসলাম, নওগাঁ প্রতিনিধি: সারাদেশে যখন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য মানুষ ঘরমুখী ঠিক সেই সময় রাণীনগর-আত্রাই উপজেলার আসহায়, কর্মহীন ও দরিদ্র মানুষের প্রায় ২০ হাজার পবিারের মাঝে খাদ্য সহয়তা ও প্রায় ১৬ হাজারের অধিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করেছেন নওগাঁ-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলম। নিজে ভালো থাকার পাশাপাশি তার সংসদীয় এলাকার মানুষকে ভালো রাখতে চান তিনি।
তিনি বনে, দুঃখী মানুষের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে উপজলো নির্বাহী কর্র্মকতা এবং অন্যান্য সরকারি মাধ্যমে ব্যাপক খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন। সরকার করোনা পরিস্থিতি মোকাবলোয় বিজিএফ, বিজিডি, ১০টাকা কেজি চাল ও বিশেষ খাদ্য সহায়তা দিতে যে ব্যাপক ব্যবস্থা নিয়েছে তার সঠিক বাস্তবায়ন হলে কোনো মানুষই অভুক্ত থাকবে না।
গত ২৯ মার্চ থেকে সরকারী অনুদানের পাশা-পাশি ইসরাফিল আলম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সহায়তায় রাণীনগর হাউস ও আত্রাই উপজেলার আওয়ামী দলীয় কার্য্যলয়ের দ্বিতীয় তলায় মানবীক খাদ্য সহায়তা কেন্দ্র নামে দুইটি হটলাইন খাদ্য সরবরাহ কেন্দ্র চালু করা হয় । আর এই হটলাইন কেন্দ্র গুলো রাণীনগরের জন্য ০১৭১১-৮৪৮৫০৮,০১৭১৭-৬৭১৫৯৮,০১৩১১-৭৩০৩৯৩,০১৭৭০-০১০০৩০,০১৭৩৭-৪৭২৯৭৪ এবং আত্রাইয়ের জন্য ০১৭১৬-৩৩১৭৯৭,০১৭১১-১৩৬৮১০,০১৭২৮-৭১৮৫৯১,০১৭১৩-৭৮৮৪৩৮,০১৭৬৫-৯১৯২৮০,০১৭৪০-৫৪০৭৮৭ দুই উপজেলায় ১১টি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এই কেন্দ্র গুলো পরিচালনা করা হচ্ছে এতে দুই উপজেলার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন প্রর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এই কার্যত্রুমে সহায়ক ভুমিকা পালন পুর্বক অদ্যবধি দুই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে করোনা আতঙ্কে ঘরে বসে থাকা কর্মহীন অসহায় হতদরদ্রি, গরিব, নিম্ন আয়ের মানুষদের প্রায় ২০ হাজার পরিবারের মাঝে ৯৭ মেঃ টন চাল ,২০ মেঃ ডাল,১০হাজার লিটার তৈল ,২০ মেঃটন লবন ,২০ মেঃটন আলু, ২১ হাজার পিচ সাবান,৫ মেঃটন কাচা মরিচ, ৫ মেঃটন মিষ্টি কুমড়া, ৫ মেঃটন বেগুন ২.৫ মেঃ করলা,২মেঃ টন লাউ খাদ্য সামগ্রী হিসাবে পৌছে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম নিজ কন্ঠের রেকর্ডকৃত বক্তব্য দুই উপজেলার প্রতিটা গ্রামে গ্রামে মাইকের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার সহ দুই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সাবান ও হাত ধোয়ার বেসিন স্থাপনসহ জনসাধারন , চিকিৎসক ,আইন শৃংখলা বাহিনী ও সেচ্চাসেবকদের সংত্রুমণ প্রতিেিরাধের জন্য ৫ হাজার পিচ ম্যাস্ক, ১হাজার পিচ হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ৬ হাজার পিচ সার্জিক্যাল ম্যাস্ক, ২হাজার পিচ সার্জিক্যাল হ্যান্ড গ্ল্যাাভস, ২ হাজার পিচ সার্জিক্যাল হেড ক্যাপ ও ৪শ, পিচ পি,পি,ই সহ এসব স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরন করেন।
সাংসদ বলেন, ‘আমি ভালো আছি সেই সাথে এলাকার মানুষকেও ভালো রাখার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। সবাইকে ঘরে থাকার কথা বলছি। কারণ, অজ্ঞাত-অচিহ্নিত ও অদৃশ্য শক্তি পুরো পৃথিবীরই একই অবস্থা। নভেল করোনার বিরুদ্ধে শুধু সচতেনতাই পারে রুখে দিতে। করোনা আতঙ্কে ঘরে বসে থাকা কর্মহীন অসহায় হতদরদ্রি, গরিব মানুষ, নিম্ন আয়ের মানুষদের এবং যাদের ঘরে প্রকৃত খাদ্য সংকট আছে এমন ব্যক্তিদের হটলাইনে ফোন পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি।’
ইতি মধ্যে দুটি উপজেলায় প্রায় ২০ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন,পরিস্থিত স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত তার এই ব্যক্তিগত কার্যক্রম চলবে।