লাকসামে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই উৎপাদন ও করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে নিরাপদ দূরত্ব না মানায় একটি সেমাই কারখানাকে ৫০ হাজার অর্থদণ্ড করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার পৌর শহরের ফতেপুর এলাকায় হাজী আবদুল বারিক নামক জনৈক ব্যবসায়ীর মালিকানাধীন ‘হাজী লাচ্ছা সেমাই কারখানায়’ অভিযান চালিয়ে এ অর্থদণ্ড করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন লাকসাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উজালা রাণী চাকমা।
জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে ‘হাজী লাচ্ছা সেমাই কারখানায়’ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই উৎপাদন করে বাজারজাত করে আসছে। সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ নিরাপদ দূরত্বের ব্যবস্থা না করে শ্রমিক দিয়ে সেমাই উৎপাদন করে আসছিল। বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উজালা রাণী চাকমা ও সেনা বাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার মুহিবুর রহমানসহ সেনা সদস্যরা ওই কারাখানায় গিয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ভোক্তাধিকার আইনে কারখানার মালিক আবদুল বারেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন। পরবর্তীতে নিয়মনীতি মেনে সেমাই উৎপাদন করা না হলে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করা হবে বলে সতর্ক করে দেয়া হয়।
এদিকে, লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজারের একাধিক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, ওই সেমাই কারখানার মালিক কোন প্রকার ইস্যু ছাড়াই কিছুদিন পরপর মুল্যবৃদ্ধি করায় তারা বিপাকে পড়ছেন। লাকসাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট উজলা রানী চাকমা ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই উৎপাদনের বিষয়ে এর আগেও ওই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছি। আজ আবার অভিযানে এসে একই চিত্র দেখা গেছে। ওই ব্যবসায়ীকে সতর্ক করা হয়েছে বলে তিনি জানান।