ফারুক আল শারাহ:
কুমিল্লার লাকসামে করোনা সচেতনতামুলক কার্যক্রমে তৎপর রয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সদস্যরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় অগ্রিম সতর্কতা হিসেবে ঝুঁকি এড়াতে থানায় দু’টি ব্যারাকে এবং বিকল্প একটি অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে পৃথক তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। লাকসাম পাইলট সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে এ বিকল্প ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নিজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনে স্থাণীয় পুলিশের এমন ব্যতিক্রম উদ্যোগ ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে জনসচেতনতায় পুলিশ সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ইতোমধ্যে সারাদেশে দেড় হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সম্প্রতি লাকসামে একই পরিবারের ৮জন সহ সর্বমোট ১৩ জন নাগরিকের করোনা শনাক্ত হওয়ায় এ উপজেলায় করোনা ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে। এখানকার মানুষকে করোনা সচেতনতায় এবং আক্রান্ত এলাকায় লকডাউন নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রশাসন অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
এরই প্রেক্ষিতে অগ্রিম সতর্কতা হিসেবেই স্থাণীয় পুলিশ সদস্যদের থানায় দু’টি ব্যারাকে এবং লাকসাম পাইলট সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে পৃথক তিনটি ভাগে বিভক্ত করে দায়িত্ব বন্টন করা হয়েছে। দায়িত্ব পালনে তিন ভাগের কেউ অন্য অংশের সংস্পর্শে যাচ্ছেন না। কোন কারণে একটি অংশের কেউ আক্রান্ত হলে ওই অংশের সকলের দায়িত্ব পালনে ঝুঁকি দেখা দিতে পারে- এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই পুলিশ সদস্যদের তিনটি অংশে বিভক্ত করা হয়। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তকে পেশাদারিত্বের ক্ষেত্রে ইতিবাচক বলে জানান বিশিষ্ট নাগরিকরা।
লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নিজাম উদ্দিন জানান, দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের যে কোন একটি অংশের কেউ আক্রান্ত হলে অন্য অংশ যাতে দায়িত্ব পালন করে যেতে পারে, এজন্যই বিকল্প অস্থায়ী ক্যাম্প করা হয়েছে। জনগণকে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেয়ার লক্ষ্যেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে তিনি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসা-বাড়িতে অবস্থানের অনুরোধ করেন।