আফ্রিকার জলদস্যু ও সন্ত্রাসীদের কুখ্যাতি বিশ্বজুড়ে। আফ্রিকার সবচেয়ে শিল্পোন্নত দেশ দক্ষিণ আফ্রিকাতেও সন্ত্রাসীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। সেই সন্ত্রাসীদের হাতেই দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রতিনিয়ত মারা পড়ছেন অনেক বাংলাদেশি। ২০১৫-২০১৯ এই চার বছরে দক্ষিণ আফ্রিকায় খুন হয়েছেন সাড়ে চারশ বাংলাদেশি। যার বেশিরভাগই হয়েছে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দ্বারা। এ তথ্য জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাব্বির আহমেদ।
তিনি আরও জানিয়েছেন, এ সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে কারণ নিহতদের অনেকের পরিবার মৃত্যুর সংবাদ গোপন করে। ব্যবসায়িক সম্পর্ক, টাকা নিয়ে বিরোধ, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, ব্যক্তিগত বিবাদের জের ধরে এসব হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়ে থ্যাকে।
সাব্বির আহমেদ আরও জানান, কারো সঙ্গে চলমান বিবাদ মেটাতে বেশিরভাগ বাংলাদেশি ‘স্থানীয় গুন্ডা ভাড়া’ করেন।
খলিল মিয়া নামে একজন অভিবাসী বাংলাদেশি জানান, স্থানীয় বাসিন্দারা বাংলাদেশিদের প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেন। যদিও আমরা তাদের চাকরি নিচ্ছি না, তার পরেও তারা আমাদের বন্দুক নিয়ে হামলা করে।
জোহানেসবার্গে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নেতা আব্দুল আওয়াল তানসেন জানান, অনেক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। কিন্তু বিচার চাওয়া তো দূরের কথা, আমরা সেগুলো কাউকে জানাইনি, কারণ, আমাদের অনেকেই এখানে অবৈধভাবে বাস করছেন।
বেশ কয়েক বছর আগে থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিদের অভিবাসন শুরু হয়। বর্তমানে প্রায় তিন লাখ বাংলাদেশি সে দেশে বাস করছেন। জানা গেছে, তাদের অনেকেই অবৈধভাবে আছেন সে দেশে। অনেক বাংলাদেশি সেখানে মুদি দোকান দিয়েছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের দূতাবাস জানিয়েছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৮৮ জন বাংলাদেশির মরদেহ দেশে পাঠানো হয়েছে। ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে সংখ্যাটি মোট ৪৫২ জন।
দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা বলেন, এখানে যারা মারা গেছেন, তাদের প্রায় ৯৫ শতাংশ হত্যার শিকার হয়েছেন। অনেককেই তাদের দোকানে গুলি করা হয়েছে।