ফারুক আল শারাহ:
নাঙ্গলকোটে অসুস্থ স্বামীকে নোয়াখালীর মাইজদীতে করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান স্ত্রী। স্বামী-স্ত্রী দুইজন ওই চিকিৎসকের সংস্পর্শে গেলেও তাদের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। অথচ চিকিৎসকের চেম্বারে না গিয়েই তাদের ছেলে-মেয়ের পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। আজ বুধবার (১৩ মে) নাঙ্গলকোটে নতুন দুইজন সহ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪ জনে দাঁড়াল।
জানা যায়, গত ১ মে নাঙ্গলকোটের দৌলখাঁড় ইউনিয়নের কান্দাল গ্রামের জনৈক গৃহকর্তা অসুস্থ হলে তার স্ত্রী নোয়াখালির মাইজদীতে নিয়ে যান। সেখানকার একটি হাসপাতালে জনৈক চিকিৎসকের চিকিৎসা শেষে স্বামী-স্ত্রী দুজনই বাড়ি চলে আসেন। বাড়ি আসার সপ্তাহখানেক পর ওই চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর জানাজানি হয়। বিষয়টি জানতে পেরে গত ১০ মে (রবিবার) নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগের করোনা র্যাপিড রেসপন্স টিম ওই পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করেন। আজ ওই পরিবারের সদস্যদের রিপোর্ট আসে। রিপোর্টে বাবা-মায়ের করোনা নেগেটিভ আসলেও তাদের ছেলে-মেয়ের পজেটিভ এসেছে। ছেলের বয়স ১২ বছর এবং মেয়ের বয়স ১৬ বছর। জেলা সিভিল কার্যালয় থেকে আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিতের পরপরই তাদের বাড়ি সহ আশে-পাশের তিনটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। নাঙ্গলকোটে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪ জনে দাঁড়াল।
নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেব দাস দেব নতুন দুইজন আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিবারের সকলের রিপোর্ট এসেছে। তার মধ্যে ভাই-বোনের পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। আক্রান্তদের হোম আইসলোশনে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যের অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।