স্টাফ রিপোর্টার:
লাকসামে স্যাভলনসহ লিকুইড এন্টিসেপটিক সঙ্কট দেখিয়ে ফায়দা লুটছে কতিপয় এজেন্ট/ডিলার। স্থানীয় পাল ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে স্যাভলন এন্টিসেপটিক কিনতে যাওয়া দোকানী ও ফার্মেসীর মালিকদের বিপুল সংখ্যক সাবান ও হ্যান্ড ওয়াশ কিনতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। অন্যথায় স্যাভলন ছাড়াই ক্রেতাদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও অধিক দামে অতি প্রয়োজনীয় এ পণ্যটি বিক্রি করার অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই লাকসামে স্যাভলনসহ অন্যান্য এন্টিসেপটিক লিকুইড সঙ্কট দেখা দেয়। এ সুযোগে লাকসাম শহরের কুমারপট্টিতে অবস্থিত পাল ব্রাদার্স স্যাভলন লিকুইড নিয়ে কারসাজিতে নামেন। ফার্মেসীর মালিক ও দোকানীরা স্যাভলন কিনতে গেলে সঙ্কট দেখিয়ে পাইকারী দামের চাইতে অধিক দাম রাখছে। তাছাড়া, স্যাভলনের সাথে বিপুল সংখ্যক সাবান ও হ্যান্ডওয়াশ কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। অন্যথায় স্যাভলন ছাড়াই ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে ক্রেতাদের।
এদিকে, ‘স্যাভলন লিকুইড এন্টিসেপটিকের সাথে সাবান ও হ্যান্ডওয়াশ প্যাকেজ’ এসিআই কোম্পানি কতৃক নির্ধারণ করা হয়েছে বলে প্রচার করছেন বাবুল পাল। কিন্তু এসিআই কোম্পানীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, কোম্পানীর এ ধরনের কোন প্যাকেজ নেই। গ্রাহকদের এক পণ্যের সাথে আরেক পণ্য কেনার বাধ্যবাধকতাও নেই কোম্পানীর।
ভুক্তভোগী এক ফার্মেসীর মালিক জানান, এক লিটার স্যাভলন কিনতে গেলে এর সাথে ৩৬টি সাবান ও কয়েকশ’ টাকার হ্যান্ড ওয়াশ কিনতে বাধ্য করছেন পাল ব্রাদার্সের মালিক বাবুল পাল। তিনি আমাদেরকে এটি কোম্পানির নিয়ম বলে জানাচ্ছেন। পরে স্যাভলন ছাড়াই ফিরে আসি। আমরা ফার্মেসীতে সাবান, হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে কি করব?
অপর এক ফার্মেসীর মালিক বলেন, আমি এক ডজন স্যাভলন এন্টিসেপটিক কিনতে গেলে এর সাথে আরো ৩ কার্টুন সাবানের প্যাকেজ কিনতে হবে বলে জানান পাল ব্রাদার্সের মালিক। পরে স্যাভলন না কিনেই ফিরে যাই। আর আমাদের কাস্টমাররা দোকানে এসে এ পণ্যটি ছাড়াই ফিরে যাচ্ছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কোম্পানী পণ্যের দাম না বাড়ালেও পাল ব্রাদার্স তেলেসমাতি দেখিয়ে করোনা সংকটে অধিক দামে পণ্য বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে স্যাভলন ডিলার পাল ব্রাদার্সের মালিক বাবুল পাল জানান, কোম্পানী আমাদেরকে ঠিকমত মালামাল সাপ্লাই দিচ্ছে না। স্যাভলন লিকুইডের সাথে সাবান ও হ্যান্ডওয়াশের প্যাকেজ কিনতে হবে। এটা কোম্পানীর প্যাকেজ।
এসিআই কোম্পানীর কুমিল্লা জোনাল ম্যানেজার আমিনুল হক বলেন, কোম্পানীর তরফ থেকে এক পণ্যের সাথে অন্য পণ্য কিনতে কাউকে বাধ্য করা হয় না। আর এ ধরনের কোন প্যাকেজ কোম্পানীর নেই। তবে প্রয়োজনের তুলনায় স্যাভলন সাপ্লাই কিছুটা কম।
লাকসাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজালা রানি চাকমা বলেন, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।