ফারুক আল শারাহ:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে আপন দুই সহোদর সহ আরো তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়াল। স্থানীয় স্বাস্থ্যবিভাগ নতুন তিনজন শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, নতুন আক্রান্ত দুই সহোদরের বাড়ি উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামে। তাদের মধ্যে একজনের বয়স ৪০, অন্যজনের ৩৮। তাদের মধ্যে বড় সহোদর ঢাকায় সরকারি প্রতিষ্ঠানে ড্রাইভার পদে কর্মরত। অন্যজন ঢাকাতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন। প্রথমজন গত ১০/১১দিন পূর্বে করোনা উপসর্গ নিয়ে ঢাকা থেকে রাতের আঁধারে বাড়ি আসেন। অন্য সহোদরও গত ৪/৫দিন পূর্বে ঢাকা থেকে করোনা উপসর্গ নিয়ে বাড়ি আসেন। উপজেলা র্যাপিড রেসপন্স টিম বিষয়টি জানতে পেরে গত বৃহস্পতিবার (১৪ মে) তাদের নমুনা সংগ্রহ করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করেন। আজ শনিবার দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত রিপোর্টে তাদের করোনা রিপোর্টে পজিটিভ আসে। উপজেলা র্যাপিড রেসপন্স টিম তাদেরকে হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা শুরু করেছেন। তাদের পরিবারের আরো ৯ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ওই এলাকার ৬টি বাড়ি লকডাউন করেছে।
করোনা আক্রান্ত নাঙ্গলকোটের অন্যজনের বাড়ি জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নের পানকরা। ২২ বছর বয়সী ওই তরুণ চট্টগ্রামের পটিয়ায় একটি মরিচ ভাঙ্গানো মেইলে কাজ করে। গত মঙ্গলবার (১২ মে) চট্টগ্রাম থেকে রাতে বাড়ি এসে আত্মগোপনে চলে যায়। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সকালে খবর পেয়ে উপজেলা র্যাপিড রেসপন্স টিম তার নমুনা সংগ্রহ করতে তার বাড়িতে গেলে তিনি আত্মগোপনে থাকায় নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। পরে ওইদিন বিকেলে পুনরায় উপজেলা র্যাপিড রেসপন্স টিম তার বাড়ি এসে তাকে খুঁজে বের করে নমুনা সংগ্রহ করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করে। আজ শনিবার দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত তার রিপোর্টে করোনা পজিটিভ শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। পরে উপজেলা র্যাপিড রেসপন্স টিম তাকে হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা করছেন। উপজেলা প্রশাসন তার বাড়িসহ ৫টি বাড়ি লকডাউন করেছে। তার পরিবারের ৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার (১১ মে) উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের পূর্ববামপাড়া গ্রামের শ্বাশুড়ি ও পুত্রবধূ এবং গত বুধবার (১৩ মে) দৌলখাঁড় ইউনিয়নের কান্দাল গ্রামের ভাই-বোনের করোনা শনাক্ত হয়।
নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেব দাস দেব আজ নতুন তিনজন সহ উপজেলায় এ পর্যন্ত ৭ জন করোনায় আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।