স্টাফ রিপোর্টার:
নাঙ্গলকোটে আয়েশা আক্তার (২০) নামক এক গৃহবধূ নিখোঁজের এক সপ্তাহেও উদ্ধার হয়নি। ঈদের কেনাকাটার কথা বলে ওই গৃহবধূকে তার বাবার বাড়ি থেকে স্বামী জাহাঙ্গীর আলম নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।
আয়েশার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের শেষ দিকে উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের অষ্টগ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের সাথে দেওভান্ডার গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে আয়েশা আক্তারের বিবাহ হয়। বিবাহের তিন মাস পর স্বামী প্রবাসে চলে যান। এরপর থেকে শ্বশুর শাশুড়িসহ স্বামীর পরিবারের লোকজন সবসময় যৌতুকের জন্য তাকে চাপ সৃষ্টি করে। আয়েশার প্রবাসী বাবা-মেয়ের সুখের জন্য তাদের অনেক অন্যায় আবদার পূরণ করেন। সর্বশেষ প্রবাস থেকে মোবাইল ফোনে শাশুড়ির কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করে জামাতা জাহাঙ্গীর। এ টাকা দিতে না পারায় দীর্ঘদিন যাবৎ আয়েশার উপর নির্যাতন চলে আসছে। জাহাঙ্গীর প্রবাসে একবছর থাকার পর গত ৩ মাস পূর্বে দেশে এসে আয়েশার ৫ ভরি স্বর্ণের গহনা বন্ধক দেয়ার কথা বলে নিয়ে যায়। এরপর গত ৮ মে শুক্রবার বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন আয়েশা। পরে গত রবিবার সকালে স্বামী ঈদের কেনাকাটা করে দেয়ার কথা বলে নিয়ে যাওয়ার পর এক সপ্তাহ থেকে আয়েশা নিখোঁজ রয়েছে। এ ব্যাপারে আয়েশার পরিবারের লোকজন স্বামী জাহাঙ্গীরের সাথে যোগাযোগ করলে সে আয়েশাকে তার পিতার বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়ে যায় বলে জানান। আয়েশার কোন খোঁজ না পেয়ে অজানা আশঙ্কায় তার পিতার বাড়িতে চলছে আহাজারি। এ ঘটনায় নিখোঁজের মাতা সীমা আক্তার নাঙ্গলকোট থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন । যার নং ৩০৫।
আয়েশার প্রবাসী পিতা আনোয়ার হোসেন মোবাইল ফোনে জানান, না জানি আমার মেয়েটাকে তারে মেরে গুম করে পেলেছে। আমি প্রশাসনের কাছে আমার মেয়ে উদ্ধারে সহযোগিতা কামনা করছি।
নিখোঁজ আয়েশার মাতা সীমা আক্তার বলেন, আমার মেয়েটাকে যৌতুকের জন্য অনেক নির্যাতন করেছে। তার স্বর্ণগহনা ও মোবাইল ফোন সব নিয়ে গেছে। সবশেষে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে টাকা দিতে না পারায় ঈদের কেনাকাটার কথা বলে আমার মেয়েটিকে আজ এক সপ্তাহ কোথায় রেখেছে আমরা জানিনা। আমি প্রশাসনের কাছে আমার মেয়ের সন্ধান চাই।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম বলেন, স্থানীয় দৌলখাঁড় বাজারে কেনাকাটা শেষ করে তার বাবার বাড়ির সামনে আমার স্ত্রীকে নামিয়ে দিয়ে আসি। এরপর আমি আর কিছু জানিনা।
নাঙ্গলকোট থানার এ.এস.আই আবদুল কাদের জানান, আয়েশাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।