অ্যাডভোকেট তানজিনা:
১৯৮১ সালের ১৭ই মে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পা রাখেন নিজের মাতৃভূমি স্বাধীন বাংলায়। যে স্বাধীনতার জন্য নিজের পিতাকে কারাগারে কাটাতে হয়েছে বছরের পর বছর। শেষ পর্যন্ত স্বপরিবারে প্রাণ উৎসর্গ করে বঙ্গবন্ধু মুক্তি নেন এই পৃথিবী থেকে। সেই বঙ্গকন্যা বাংলার বুকে ফিরে আসেন স্বর্গীয় দূত হয়ে। আর দিন বদলের এই সময়ে, বিভিন্ন দেশ আজ শেখ হাসিনার কার্যক্রমের প্রশংসায় বিমোহিত।
মিসরের রাষ্ট্রদূত মাহমুদ ইজ্জতের দৃষ্টিতে বনে যান, বিশ্ব ক্যারিশম্যটিক লিডার। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এর দোয়ান উপাধি দেন, বিরল মানবতাবাদী নেতা। নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থীর দৃষ্টিতে, বিশ্ব মানবতার আলোকবর্তিকা। ভারতের সংসদ সদস্য ড. বিনয় প্রভাকর বলেন, শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নয়, বিশ্বনেতা। অথচ আমরা এতই দূর্ভাগ্য জাতি যে, না পেরেছি বঙ্গবন্ধুকে মূল্যায়ন করতে আর এখন না পারছি শেখ হাসিনার বিচক্ষনতাকে কদর করতে! বাঙালির সবচাইতে বড় দোষ শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ উদ্ধার করে শুধুমাত্র নিজেকে সমাজে চোখে বড় করা! সমহারে
বাংলাদেশের সকল মানুষ প্রতিষ্ঠিত হবে, বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে, শেখ হাসিনার এই স্বপ্নই আজ কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে! না হয় শেখ হাসিনাকে নিয়ে হলি খেলার কোন কারণ আছে কিনা, আমি জানিনা। আমরা যে এতই অবিবেচক জাতি, নূন্যতম বুঝার ক্ষমতা থাকলে, বুঝতে পেতাম, আওয়ামীলীগের এত বড় বড় রাঘব বোয়ালদেরকে ছাড় না দিয়ে, অসহায় ফকির, মিসকিনদের মোবাইলে টাকা পাঠানোর কোন কারণ আছে কি না?
একটু ভাবুনতো- আমরা জানি, ক্ষমতায় টিকে থাকতে হলে নিজের দল এবং নিজের মানুষকে শক্তিশালী বানাতে হয়! নির্বাচনের সময়, তৃণমূলের ফকির মিসকীনের ভোট ১০০ থেকে ২০০ টাকায় পাওয়া যায় ! তাহলে সম্রাটদের মত লোকদেরকে এভাবে লোকালয়ে এনে অপমান করানোর কি কোন কারন থাকতে পারে? সরকারের সব কথা যদি পুলিশ শোনে, তাহলে সম্রাটদের মতো লোকদের ধরার জন্য বাধা আসেনি কেন? যুক্তি দাঁড় করালে অনেক করানো যাবে! অযথা বিতর্কে যেতে চাইনা। কোন দল নয়, কোন মানুষ নয়, শেখ হাসিনার বুদ্ধিমত্তাকে দেশের কাজে লাগানোই হলো প্রকৃত দেশপ্রেমের লক্ষণ। দেশটাকে একটা যায়গায় নিয়ে দাঁড় করানোর জন্য, আসুন সবাই মিলে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীকে সহোযোগিতা করি। বিগত জীবনেও আমরা সরকার দেখেছি, যে দল যখন ক্ষমতায় থাকে সেই দলের মানুষগুলোই বেশিরভাগ শুবিধা ভোগ করে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু শেখ হাসিনার মধ্যে এমন কিছু দেশপ্রেমের লক্ষণ বুঝা যায়, যেটা বিগত জীবনে বিরল ছিলো। দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য ভাবতে গিয়ে ধরা ছোঁয়ার বাহিরের শক্তিশালী দলিয় কিছু লোকদেরকে যেভাবে ধড়-পাকড় করছে, এতে আমার ভীষণ ভয় হয়। আসুন, আমরা শুধুমাত্র নিজেকে নয়; ১৭কোটি মানুষকে সাথে নিয়ে, একটি উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। আল্লাহ দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুস্হতা ও দীর্ঘ হায়াত দান করুন। আমিন।
লেখক: জেলা পরিষদ সদস্য, কুমিল্লা।