মোঃ জাকির হোসেন:
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার হিসেবে আড়াই হাজার টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা পাচ্ছেন করোনাভাইরাসের কারণে সারা দেশের ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবার। প্রতি পরিবারে ধরা হয়েছে ৪ জন সদস্য, সেই হিসেবে এই নগদ সহায়তায় উপকার ভোগী হবে প্রায় ২ কোটি মানুষ।এ জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। কাল ১৪ মে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল সকাল সাড়ে দশটায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, গ্রামের মেম্বার, শিক্ষক, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি এই তালিকা তৈরি করেছেন।
ভাতা পাওয়ার তালিকায় আছেন রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণশ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, দোকানের কর্মচারি, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোলট্রি খামারের শ্রমিক, বাস-ট্রাকের পরিবহন শ্রমিক ও হকারসহ নিম্ন আয়ের নানা পেশার মানুষ।
তালিকাভুক্তদের মধ্যে নগদ, বিকাশ, রকেট, এবং শিউরক্যাশের মাধ্যমে সরাসরি চলে যাবে এই টাকা, ফলে বাড়তি কোন ঝামেলা পোহাতে হবে না তাদের। টাকা পাঠানোর খরচ সরকার বহন করবে। এই টাকা উত্তোলন করতে ভাতাভোগীদের কোন খরচ দিতে হবেনা। এই ৫০ লাখ পরিবারের বাইরে আরও ৫০ লক্ষ পরিবারের প্রায় ২ কোটি সদস্য আগে থেকেই রয়েছে ভিজিএফ কার্ডের আওতায়। এছাড়াও রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, শিক্ষা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা।
প্রধানমন্ত্রী ঈদ উপহার হিসেবে যে আড়াই হাজার টাকা করে দিচ্ছেন, যদি ওয়ার্ড ভিত্তিক সমান হারে জনগণ না পেয়ে থাকে, তাহলে জবাবদিহিতার আওতায় আসতে হবে। অর্থাৎ এক ওয়ার্ডে যদি ১০০ জন লোক হয়, সেই জায়গায় কেহ যদি ১০০ জনের নাম দিয়ে থাকে বা ১০০ জন পেয়ে থাকে, অন্য ওয়ার্ডে যদি ১০০ জনের মধ্যে ৫০ জন পেয়ে থাকে কিংবা মেম্বার ও দলীয় নেতাকর্মী ছাড়া কোন বিশেষ ব্যক্তি বা আস্থাভাজন এর মাধ্যমে লিস্ট সংগ্রহ করে থাকে, তাহলে আমি মনে করবো স্বজনপ্রীতি হয়েছে-দুর্নীতি হয়েছে।
যেমন আগে শুনতাম কার্ড করার সময় টাকা নিয়ে কার্ড করা হতো। এরকম কিছু গত এক বছর আগে আমরা শুনেছি। তবে এই ঈদ বোনাসের টাকার পাওয়ার জন্য যদি ব্যক্তিগত কোন নাম দিয়ে থাকেন বা নিজেদের মধ্যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং (যোগসাজশ) থাকে যে তোমার নাম আমি দিলাম, টাকা পাইলে অর্ধেক আমাকে দিতে হবে। কারো বিরুদ্ধে এমন কোন তথ্য পেলে তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না।
বিশেষ করে প্রত্যেকটা ওয়ার্ড এ সমানভাবে জনসংখ্যা অনুযায়ী বা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সুষম বন্টন না হয়ে থাকে, তাহলে টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে সরাসরি তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে। অনেকে আমাকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে চেয়েছেন। আমি ছুটিতে সৌদি আরবে থাকার কারনেণ অনেক কিছু জানি না। আশা করি দেশে আসলে ইনশাল্লাহ সবকিছু খতিয়ে দেখবো। দয়া করে কান কথা শুনবেন না। আমার কাছে কিছু বলতে হলে দয়া করে প্রমাণ সহকারে কথা বলবেন। সবাই ভালো থাকুন, ঘরে থাকুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, আল্লাহ হাফেজ।
লেখক: চেয়ারম্যান
মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ।