মন কি? আর প্রফুল্ল বা কি? জী হ্যাঁ, এ শব্দ দু’টির ভিন্ন অর্থ। সুতরাং এদের সম্পর্কে আমাদের ধারণা না থাকলে প্রসঙ্গ বাস্তবায়ন হবেনা। তাহলে দেখা যাক দু’টির অর্থ ও ব্যবহার। প্রথমতঃ আসা যাক ‘মন’ কি? মন শব্দের অর্থ হচ্ছে চিত্ত,অন্তঃকরণ; অন্তরিন্দ্রিয়, হৃদয়। এই মনে ক্ষোভ থাকতে পারে, আক্ষেপ থাকতে পারে, দুঃখ থাকতে পারে, পিপাসা থাকতে পারে, ব্যাকুলতা থাকতে পারে। চঞ্চলতা থাকতে পারে, অস্তিরতা থাকতে পারে। শাসন, সংযম,সংবরন থাকতে পারে।ইচ্ছা, আশা, আকাঙ্খা, পছন্দ, প্রবৃত্তি বোধ, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা, একাগ্রতা, সংকল্প, খুশী, তুষ্টতা থাকতে পারে।মন ব্যথিত বা ভারাক্রান্ত থাকতে পারে। কান্না পেতে পারে। মনে বিরূপতা, বিরোধিতা, পরস্পর মনমালিন্য, পরস্পর অবনিবনা ইত্যাদি ইত্যাদি আরও কত কিছুই না থাকতে পারে। যদি প্রশ্ন করা হয় আর কি কি থাকতে পারে। তাহলে বলতে হয় যে, মনে বিষন্নতা থাকতে পারে। মনে ছলনা থাকতে পারে।মনে টান থাকতে পারে। মনে হতাশা থাকতে পারে। মনে ভাব গম্ভীরতা থাকতে পারে। মনে ঝাল থাকতে পারে। মনে বিষ থাকতে পারে। মনে হিংসা, বিদ্বেষ, শত্রুতা ইত্যাদি থাকতে পারে।

দ্বিতীয়তঃ প্রফুল্ল শব্দের অর্থঃ বিকশিত, প্রস্ফুটিত, আনন্দিত, প্রসন্নতা ইত্যাদি। সুতরাং মনের দুঃখ, দুর্দশা, গ্লানি, হতাশা, আক্ষেপ, পিপাসা, যা কিছু থাকুক না কেন তা সবাই দুর করতে চায় হাসি আনন্দ দিয়ে। এ দু’ য়ের সমাহার হলেই মন তার আপন খেয়াল প্রফুল্ল হয়ে উঠবে। উৎকর্ষ সাধন হবে চিত্তের।কল্পনার বাঞ্চিত বস্তু উপভোগ্য হয়ে উঠবে। দিনভর পরিশ্রমের পর ক্লান্তি মাখা দেহ মনের বা চিত্তের বিনোদন মনকে প্রস্ফুটিত করে এনে দেয় প্রসন্নতা।মন পবনের দাঁড় তখন স্বেচ্ছা বিহারি হয়ে উঠে।ঘুরে বেড়ায় কাল্পনিক স্বর্গরাজ্যে। মনকে তখন সীমাহীন আনন্দে মাতিয়ে দেয়।ভুলে যায় সব হিংসা, বিদ্বেষ, বিষন্নতা। জীবন সংগ্রামে অবতীর্ন প্রতিটি মানুষ দিনভর ব্যস্ততার পর স্বাভাবিক ভাবে ঝিমিয়ে পড়ে মনমানসিকতা। এই মন যদি সুস্হ থাকে তাহলে ভুলে যায় সকল কষ্ট ক্লেশ। মনকে সুস্হ রাখতে আহমরি কিছু নেই সবকিছু স্বাভাবিক ভাব গ্রহন করলে চিত্তের খোরাক এমনিতেই জুটে যায়। এর জন্য প্রয়োজন দুচিন্তা মুক্ত থাকা। চিন্তা রোগের যেমন ঔষধ নেই। তেমন আপন তাগিদে মনকে প্রফুল্ল রাখার বিকল্প নেই।