কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) নিয়মিতই নির্মাণাধীন ভবন থেকে শ্রমিকদের পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। ঠিকাদারসহ শ্রমিকদের বারবার সতর্ক করা হলেও যেন সেগুলো আমলেই নিচ্ছে না তারা।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন অ্যাকাডেমিক ভবন ৪ এর তিনতলা থেকে পড়ে শহিদুল ইসলাম (৩০) নামে এক শ্রমিক আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নিরাপত্তার জন্য ব্যবহৃত বেল্ট ছাড়াই মাচায় উঠে ঝুঁকি নিয়ে তিনতলার সিলিংয়ের রড সোজা করার কাজ করছিলেন শহিদুল। এসময় ভবনের একটি রড সোজা করতে টান দিলে সেটি ছুটে যায়। যার ফলে শহিদুল নিজের ভারসাম্য রাখতে না পারায় তিন তলা থেকে নিচে পড়ে যান।
শহিদুলকে আহত অবস্থায় শ্রমিকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে হস্তান্তর করা হয়।
নির্মানাধীন ভবনটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জাকির এন্টারপ্রাইজ এবং খোকন কনস্ট্রাকশনের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শ্রমিকদের নিরাপত্তা বেল্ট দেয়া হয়েছে। কিন্তু সে ব্যবহার করেনি। হাসপাতালে আমার লোক পাঠিয়েছি। তারা দেখাশুনা করছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মোঃ বেলায়েত হোসেন ভুঁইয়া বলেন, আহত শ্রমিকের কোমরের হাড় ভেঙ্গে যেতে পারে। অবশ্য তার জ্ঞান ছিল। কথাবার্তাও স্বাভাবিক ছিল। চিকিৎসার জন্য আমরা তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে বেশ কয়েকজন আহতসহ একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণও করেছে। গত ৩১ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সম্প্রসারিত অংশের কাজ করার সময় ভবন থেকে পড়ে গিয়ে সারওয়ার হোসেন নামে এক শ্রমিক গুরুতর আহত হয়। তার চার দিন পরে ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
একই হলের সম্প্রসারিত কাজ করতে গিয়ে গত ৩ ডিসেম্বর চারতলা ছাদ থেকে পড়ে একজন শ্রমিক গুরুতর আহত হয়। শুধু তাই নয় গত সপ্তাহেও এক শ্রমিকসহ বেশ কয়েকবার বিভিন্ন ভবন থেকে পড়ে গিয়ে বেশ কয়েকজন শ্রমিক গুরুতর আহত হয়।