মোঃ খোরশেদ আলম:
অন্যান্য বছর ঈদের সময় সরাসরি শুভেচ্ছা বিনিময় করা হতো , পরিচিত জন, প্রিয়জন, আপন জন দের সাথে। খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা দেওয়া হয় ঈদ বা পরবর্তী দিনে। করোনা ভাইরাসের জন্য এইবার নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেটা সম্ভব হয়নি।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানাতে দেশ, বিদেশ থেকে অনেক বন্ধু, ছোট ভাই, বড় ভাই, পরিচিত জন, আত্মীয়স্বজন, সহকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষীরা মেসেজে , ফেইসবুকে, ইনবক্সে, মোবাইলে, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেসেজ করেছেন।
দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত থাকায় আলাদা করে সবাইকে শুভেচ্ছা জানাতে পারিনি। সেজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত । সবার প্রতি ভালোবাসা আর শুভকামনা।
আপনাদের বারবার একটা কথাই বলি সবাই সাবধান থাকুন, ঘরে থাকুন, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হবেন না।
বিশ্বাস করুন গত ২ মাস পর যখন আমার সন্তানদের সাথে অল্প কয়েক মিনিটের জন্য দেখা করি। আমার অবুঝ দুটি সন্তান বারবার আমার কাছে আসতে চাচ্ছিলো । আমারো খুব বেশি ইচ্ছে করতেছিল ওদের জড়িয়ে ধরতে, ওদের বুকে নিতে। পরিবেশ, পরিস্থিতি এমন একটা অবস্থায় আজ দাঁড়িয়ে ইচ্ছে থাকলেও পিতা হিসেবে সন্তানকেও জড়িয়ে ধরতে পারিনি।
আপনারা আপনাদের পরিবারের কথা ভাবুন। তাদের জন্য হলেও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখুন। করোনা মোকাবেলায় ঘরে থাকুন।
একদিন অন্ধকার কেটে আলো আসবে সেদিন সবার সাথে আড্ডা হবে, দেখা হবে। আল্লাহ হাফেজ ।
লেখক: অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
নারায়নগঞ্জ ‘খ’ সার্কেল।