স্টাফ রিপোর্টার:
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে এক প্রবাসী ও তার সহপাঠীকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২২ মে সকালে মনোহরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এবং চড্ডা গ্রামের খোরশেদ আলমের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীদের দাবি বাইশগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাসুদ ওয়াসিমের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে মনোহরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে ২৭ মে বুধবার অভিযুক্তদের ছবি সম্বলিত ব্যানার-পেষ্টুন নিয়ে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। তারা এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়নের হাওরা গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার সাহাব উদ্দিনের ছেলে রাজিব গত ৩ মাস আগে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসে। চলতি মাসের শুরুর দিকে খেলাধুলার বিষয়াদি নিয়ে হাওরা দক্ষিণ পাড়া ও উত্তর পাড়ার বাসিন্দাদের মাঝে ঝগড়া-বিবাদ হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পাড়ার লোকজন একে অপরের উপর ক্ষিপ্ত থাকে। এরই প্রেক্ষিতে গত ২২ মে সকালে হাওরা গ্রামের উত্তর পাড়ার মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে রাসেল, আব্দুল বাতেন বাচ্চুর ছেলে মোর্শেদ আলম মজনু, ছালেহ আহম্মদের ছেলে কামরুল ইসলাম, খোকন মিয়ার ছেলে রিয়াজ, পেয়ার আহম্মদের ছেলে রাকিব, নুরু মিয়ার ছেলে শরীফ, জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে জাবেদ, দিশাবন্দ গ্রামের রিপন, সাহাব উদ্দিন ও রাকিব সহ অজ্ঞাত কয়েকজন যুবক পূর্বপরিকল্পিত ভাবে মনোহরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে কুয়েত প্রবাসী রাজিবের সহপাঠী হাওরা দক্ষিণ পাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে সোহেলের উপর হামলা চালায়। এর কিছুক্ষণ পর তারা মনোহগঞ্জ বাজার থেকে প্রবাসী রাজিবকে উঠিয়ে নিয়ে চড্ডা গ্রামের খোরশেদ আলমের বাড়ির সামনে তার উপরও হামলা চালায়। হামলাকারীরা রাজিব ও সোহেলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে অবস্থা আশংকাজনক দেখে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। এ বিষয়ে আহত প্রবাসী রাজিবের পিতা সাহাব উদ্দিন বাদি হয়ে মনোহরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এদিকে আহত প্রবাসী রাজিব ও তার পরিবারের লোকজন দাবি করেন, বাইশগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাসুদ ওয়াসিমের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা মাসুদ ওয়াসিম বলেন, ‘এ ঘটনার সাথে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নিজ এলাকায় সুনামের সাথে রাজনীতি করে আসছেন। রাজনীতিক সুখ্যাতি ক্ষুণ্ন করতেই এ ঘটনার সাথে তার নাম জড়ানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে।’ অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও অন্যান্য অভিযুক্তদের বক্তব্য নেয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মনোহরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।